ধর্মীয় প্রেম ও সম্প্রীতির বার্তা সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের

বৃহস্পতিবার নিউটাউন বিজনেস ক্লাবে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের উদ্যোগে নববর্ষের যাত্রা শুরুতে সমস্ত ধর্মীয় ধর্মের নেতাদের প্রেম এবং সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য এক প্ল্যাটফর্মে সমবেত করা হয়। ২০২৩ সালে সারা বছর ধরে, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস দ্বারা দেশের সমস্ত দোকানে দেশব্যাপী মাতৃ প্রকৃতির চেতনা তৈরি করতে গ্রাহকদের প্রায় ৫০,০০০ চারা উপহার দেওয়া হয়েছিল।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বৌদ্ধ পুরোহিত বোধিজ্যোতি ভিক্ষু, সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের ডিরেক্টর এবং হেড অফ মার্কেটিং অ্যান্ড ডিজাইন জয়িতা সেন,  চেয়ারম্যান-এনকেডিএ এবং এমডি- হিডকো দেবাশিস সেন, (আইএএস); কলকাতার রোমান ক্যাথলিক আর্চবিশপ রেভারেন্ড থমাস ডিসুজা,এমডি এবং সিইও সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস শুভঙ্কর সেন, ইসকনের সন্ন্যাসী শিবাজি ভক্ত, পার্সি পুরোহিত জিমি হোমি তারাপোরওয়ালা, এবং মুসলিম শিয়া ধর্মগুরু ও হজ কমিটির সদস্য, মাওলানা সৈয়দ মেহের আব্বাস রিজভি। এদিনের অনুষ্ঠানে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি এঁরা চারাও রোপণ করেন।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের মার্কেটিং অ্যান্ড ডিজাইনিং-এর অধিকর্তা ও প্রধান জয়িতা সেন জানান, ‘ঈশ্বরের আশীর্বাদে আমাদের গ্রাহক ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছ থেকে যে ভালবাসা পেয়েছি, তার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ। প্রকৃতি আমাদের মাতৃস্বরূপা। নতুন বছরের শুরুতে অ্যাটিটিউড অফ গ্র্যাটিটিউেডর মাধ্যমে আমারা এক ইতিবাচক মনোভাব এবং যত্নের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাই। গত বছর আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি।  আমরা ভারতে আমাদের সমস্ত শোরুমগুলিতে ৫০ হাজার চারা বিতরণ করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি।’

সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও শুভঙ্কর সেন এই প্রসঙ্গে জানান,  ‘এই উপলক্ষে আমরা সমস্ত ধর্মের বার্তাবাহককে বিশ্বাস, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে আমরা সমাজের প্রতি আমাদের সমবেদনা, ক্ষমতায়ন, স্থায়িত্ব এবং ভালোবাসা প্রদর্শন করে সমাজে ফিরিয়ে আনার অঙ্গীকার করছি।’

অনুষ্ঠানে উপস্থিত এনকেডিএ-এর চেয়ারম্যান এবং হিডেকোর এমডি দেবাশিস সেন জানান, ‘এনকেডিএ-এর তরফ থেকে আমরা কর্পোরেটদের সঙ্গে  জড়িত হয়েছি যাতে আমাদের সহযোগিতায় শহর সবুজ করতে পারি। আমরা আনন্দিত যে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডস এই উদ্যোগে এগিয়ে এসেছে। আমি আশা করি, নতুন শহরটিকে সবুজ ও স্মার্ট করে তুলতে আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =