সন্দেশখালির ঘটনায় অবশেষে মুখ খুলল রাজ্য-পুলিশ প্রশাসন। ইডি-র উপর হামলার ঘটনায় কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিতে দেখা গেল ডিজিপি রাজীব কুমারকে। রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে গত শনিবার হামলার শিকার হতে হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তিন আধিকারিককে। এছাড়াও, গুরুতর আহত হয়েছিলেন তাঁদের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা। ঘটনার দিন ভাঙচুর করা হয়েছিল তদন্তকারী আধিকারিকদের গাড়িও। এই ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে এলাকার তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। অভিযুক্তদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না বলে সাফ জানালেন রাজ্যের ডিজিপি রাজীব কুমার।
শনিবারের ইডির উপর হামলা প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘যে বা যাঁরা আইন ভঙ্গ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এদিকে রবিবার রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন। ইডি-র উপর হামলার ঘটনার নিন্দাও করেন তিনি। এখনও শাহজাহানকে কেন গ্রেফতার করা যায়নি বা বলা ভাল, একেবারে বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। এবার এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য পুলিশ-প্রশাসনের কাছে জবাব তলব করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শুধু তাই নয়, শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে না পারার দায় কার্যত পুলিশের উপর চাপিয়ে কড়া হুঁশিয়ারিও দিতে দেখা যায় রাজ্যপালকে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার রেশন দুর্নীতির তদন্তে সন্দেশখালিতে পৌঁছয় ইডি আধিকারিকরা। এলাকার দাপুটে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান তাঁরা। অভিযোগ, সেই তখনই শাহজাহানের অনুগামীরা তেড়ে আসেন গোয়েন্দাদের দিকে। ইট-বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় তাঁদের। বেপরোয়াভাবে ভাঙচুর করা হয় ইডি আধিকারিকদের গাড়ি। আহত হন সিআরপিএফ জওয়ানরাও। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হন তিন গোয়েন্দা আধিকারিক। কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁদের। ঘটনার পর থেকে কার্যত পলাতক অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জারি হয়েছে লুক আউট নোটিস।