মৎস্য দফতরের কর্মধ্যক্ষ্যের পদ থেকে অব্যহতি দেওয়া হল শাহজাহানকে

শেখ শাহজাহানকে আপাতত তাঁর দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দেওয়া হল। শাহজাহান ছিলেন মৎস্য দফতরের কর্মাধ্যক্ষ। তিনি না থাকায় আপাতত যাতে উন্নয়ন আর প্রশাসনিক কাজ ব্যহত না হয়, মৎস্য দফতরের কাজকর্ম আপাতত দেখবেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী। গত শনিবার থেকেই তিনি অনুপস্থিত। এরপরই দলের তরফে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা পরিষদের আইন অনুযায়ী,  যদি কোনও কর্মাধ্যক্ষ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত, তাতে কাজের যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সে কারণে সভাধিপতি নিজেই সেই দফতরের কাজ করে দিতে পারেন।

এই প্রসঙ্গ উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী জানান, ‘শেখ শাহজাহানের জেলা পরিষদ কর্মাধ্যক্ষর পদ যেমন ছিল, তেমনটাই আছে, তিনি অনুপস্থিত ৪-৫ দিন, তাতে কারও পদ খোয়া যায় না।’ সঙ্গে সভাধিপতি এও জানান, শেখ শাহজাহানের নামে লুক আউট নোটিশ জারি হয়েছে কি হয়নি, সেই বিষয়ে তাঁর জানা নেই। পুর আইন বা পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী যদি কোনও কর্মাধ্যক্ষ দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকেন, তাহলে সেই কর্মাধ্যক্ষের অনুপস্থিতির ফলে কোনও কাজে যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য জেলা পরিষদের লিডার হিসাবে সভাধিপতি, সব স্থায়ী কমিটি,স্ট্যান্ডিং কমিটি, কাজ চালাবেন।

নারায়ণ গোস্বামীর আরও দাবি, যেমন মুখ্যমন্ত্রী সবার লিডার,মন্ত্রীদেরও লিডার তিনি। তাই কোনও কর্মাধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকার ফলে তাঁর দফতর অর্থাৎ মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ দফতরের কোনও পরিষেবা থেকে সাধারণ মানুষ যাতে বঞ্চিত না হন, তাই তার কাজ সভাধিপতিই দেখে থাকেন। পুরসভার ক্ষেত্রেও যদি কোনও সিআইসি অনুপস্থিত থাকেন বা তাঁর মৃত্যু ঘটে, তখন তাঁর কাজের দায়িত্ব পুরপ্রধানের উপর থাকে। একইভাবে যদি কোনও কর্মাধ্যক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অনুপস্থিত থাকেন, তাঁর জায়গায় যতদিন কোনও কর্মাধ্যক্ষ তৈরি না হচ্ছে, ততদিন সভাধিপতির উপর কর্মাধ্যক্ষের কাজের দায়িত্ব থাকে।

একইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের সভাধিপতি বলেন, ‘যে খবর প্রচার করা হয়েছে কোনও কোনও সংবাদমাধ্যমে, তার সত্যতা নেই।’ পাশাপাশি সন্দেশখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে, ইডি আধিকারিক-সহ সংবাদমাধ্যমের উপরে আক্রমণ করা হয়েছে, এই বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না,যা বলার দল বলবে বলেও জানান তিনি।

তবে নারায়ণ গোস্বামীর অভিযোগ, ‘যখনই কোনও বিধানসভা বা লোকসভা নির্বাচন হয় ঠিক তখনই কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা বাড়ে। আবার নির্বাচন হয়ে গেলেও তাঁরা যেন কোথায় হারিয়ে যান, তাঁদের পাওয়া যায় না। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সির তৎপরতা দেখেই বোঝা যায়, কোনও না কোন নির্বাচন সামনে আছে। এটা শুধু পশ্চিমবাংলা নয়,গোটা ভারববর্ষ জুড়েই হয়,তবে পশ্চিমবাংলায় এখন একটু বেশি হচ্ছে। তবে দেশের একজন নাগরিক হিসাবে আমি মনি করি যদি কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ থাকে, রাজ্য বা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যদি কোনও খোঁজ খবর নেয়, অভিযান চালায় বা তল্লাশি চালায়, সেক্ষেত্রে দেশের নাগরিক হিসাবে তাঁদের সহযোগিতা করা উচিৎ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 1 =