রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সাসপেন্ডের নির্দেশই বহাল ডিভিশন বেঞ্চেও

আরও বিপাকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সুবীর মৈত্র। সাসপেন্ড হওয়ার নির্দেশে আপাতত কোনও স্থগিতাদেশ নয়, মঙ্গলবার এমনটাই জানাল প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের উপর হস্তক্ষেপ করল না প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। রবীন্দ্রভারতীর রেজিস্ট্রারের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ ছিল। তাঁকে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চে।  তার ভিত্তিতে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন রেজিস্ট্রার। কিন্তু এদিন ডিভিশন বেঞ্চেও ধাক্কা খেলেন তিনি।

কলকাতা হাইকোর্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির বৈঠকের সিদ্ধান্ত না মানার অভিযোগে এবং আদালত অবমাননার কারণে সাসপেন্ড হতে হয় রবীন্দ্র ভারতীর রেজিস্ট্রারকে। রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য তথা অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় সোমবার রাতে এক নির্দেশিকায় এই কথা

আদালত সূত্রে খবর, রাজ্য সরকারের ২০১৭ সালের ২৭ জানুয়ারি এবং ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারির বিজ্ঞপ্তি মেনে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল এবং ডিভিশন বেঞ্চ এবং ও সুপ্রিম কোর্ট বারবার নির্দেশ দিয়েছে রবীন্দ্র ভারতীর ফাইন আর্টসে কর্মরত সহকারি শিক্ষকদের অবসরের বয়সও ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ বছর করতে হবে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় সেই সিদ্ধান্ত মানেনি বলে অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হন অবসরপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষক আশিস মুখোপাধ্যায় এবং বর্তমান সহকারী শিক্ষক পার্থ ঘোষ। এখানেই শেষ নয়, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দ গত ১৯ সেপ্টেম্বর, সহকারী শিক্ষক পার্থ ঘোষের বয়স বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলার প্রেক্ষিতে রায় দেন, মামলাকারী-সহ সমস্ত অ্যাকমপ্যানিস্ট টিচারের অবসরের বয়স ৬০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করতে হবে। ২ সপ্তাহের মধ্যে পার্থ ঘোষের বকেয়া টাকাও দিয়ে দিতে হবে। তারপর ৪ অক্টোবর সেই সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতি। এই প্রসঙ্গে শুভ্রকমল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বিচারপতি কৌশিক চন্দর নির্দেশ মেনেই রেজিস্ট্রারকে সাসপেন্ড করার নোটিস জারি করেছি। আদালতের নির্দেশের পরেও কর্মসমিতির সিদ্ধান্ত রেজিস্ট্রার কার্যকর করতে চাননি। আমি সুবীর মৈত্রকে বিজ্ঞপ্তি জারির বিষয়ে নির্দেশ দিলেও সহকারী শিক্ষকদের অবসরের বয়স ৬৫ বছর করতে পারবেন না জানিয়ে লম্বা ফিরিস্তি দেন।’ এক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ মেনেই যে সুবীর মৈত্রকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তা স্পষ্ট করেই জানিয়ে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্য। সেইসঙ্গে রেজিস্ট্রার যতদিন সাসপেন্ড থাকবেন, ততদিন ৫০ শতাংশ বেতন পাবেন বলেও নির্দেশ দেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × one =