রাম মন্দিরের উদ্বোধন নিয়ে পথে বাম বুদ্ধিজীবীরা

অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধন হবে সে দিনই রাজ্যে ‘সংহতি যাত্রা’র ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার রাজনৈতিক মহলে চর্চার মধ্যেই এবার পথে নামতে চলেছে বাম বুদ্ধিজীবীরা। তাঁদের দাবি, বর্তমানে দেশে যে অবস্থা চলছে তাতে দেশের গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা এবং সংবিধান বিপন্ন। সে কারণেই কোন পথে এগুলিকে রক্ষা করা যায় তাঁর খোঁজ করতেই ডাক দেওয়া হচ্ছে এই সভার। পশ্চিমবঙ্গের সাংস্কৃতিক কর্মীদের তরফ থেকে আগামী ২০ জানুয়ারি বিকেল ৩ টে থেকে ৬ টা অবধি রাণুচ্ছায়া মঞ্চে একটি নাগরিক সভার ডাক দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই তা বিবৃতি দিয়ে সে কথা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক রজত বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে সূত্রে খবর, ওই সভায় বামেদের রাজ্য নেতৃত্ব থাকতে পারেন। থাকতে পারেন বিভিন্ন স্তরের নেতারাও। একইসঙ্গে সমস্ত প্রগতিশীল মানুষজনের কাছেও এই সভায় থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। থাকবেন বুদ্ধিজীবী মহলের একাধিক বিশিষ্টজনেরাও। এর মধ্যে রয়েছেন পবিত্র সরকার, শমীক বন্দ্যোপাধ্যায়, অশোক মুখোপাধ্যায়, অশোকনাথ বসু, রঞ্জন প্রসাদ, অসিত বসুর মতো বিশিষ্ট শিল্পী ও বুদ্ধিজীবীরা।

এই প্রসঙ্গে শিক্ষাবিদ পবিত্র সরকার জানান, ‘ভারতের যে অবস্থা চলছে তাঁর পরিবর্তন চাই আমরা। কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বারা সংবিধান লঙ্ঘিত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিঙ্য ধ্বংস করে দেওয়া হচ্ছে। নাগরিক জীবন বিপন্ন। দরিদ্রদের উপর চরম অত্যাচার চলছে। এর মধ্যে ধর্মের ধ্বজা ওড়ানো চেষ্টা করা হচ্ছে। ধর্মের কারণে মন্দির হতে পারে। কিন্তু, এর পিছনে বড় রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে ধর্মকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’ একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমরা ভয়ে আছি, রাম মন্দির উদ্বোধনের দিন শান্তি কতটা থাকবে, মানুষদের জীবন ঠিকমতো থাকবে কিনা। এর বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ, ধিক্কার। শাসকদল বিজেপি সহ গোটা গেরুয়া শিবির যে অভিমুখে দেশকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তার পরিবর্তন হওয়ারও প্রয়োজন রয়েছে। আমরা চাই সেটা নাগরিকদের কণ্ঠে তার প্রতিবাদ ধ্বনিত হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। সে কারণেই আমাদের এই কর্মসূচি। সমাজের প্রগতিশীল মানুষদের কাছে এই কর্মসূচিতে আসার জন্য আবেদন জানাচ্ছি।”

তবে এর কড়া প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘বামেরা আসলে দুমুখো সাপ। ওরাই বিজেপির ধারক-বাহক। বামেদের মিছিলে যাঁরা যায় তাঁরাই তো বিজেপিকে গিয়ে ভোট দিয়ে আসে। বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এসব করছে। যাঁরা বিজেপি বিরোধী তাঁরা তৃণমূল ছাড়া অন্য কোনও দলকে বিশ্বাস করবে না।’

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four + 17 =