ভারতীয় উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে চারটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন বা ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত। যার জেরে তৈরি হয়েছে এক নাকাল করা পরিস্থিতি। আবহাওয়ার এমনই অবস্থা আরও ২-৩ দিন জারি থাকবে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সঙ্গে এও জানানো হয়েছে সকালে কুয়াশার পর দিনভর মেঘলা আকাশ থাকবে। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। বৃষ্টির বেশি সম্ভাবনা দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়ায়। তবে রাতের তাপমাত্রা ক্রমশ বাড়বে। দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের অনেকটাই নিচে থাকবে। শীতের আমেজ থাকলেও কাঁপন কমবে। কলকাতার তাপমাত্রা ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছে যেতে পারে। বৃষ্টির পরেও তাপমাত্রা খুব একটা নামার সম্ভাবনা কম। তবে দার্জিলিংয়ে তাপমাত্রা মাইনাসে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা। তুষারপাত হতে পারে আগামী দু-তিনদিন। পার্বত্য এলাকায় শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশের ওপর সাইক্লোনিক সার্কুলেশন বা ঘূর্ণাবর্ত সমুদ্রতল থেকে ৩.১ কিলোমিটার ওপর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়ে রয়েছে৷ এরই পাশাপাশি উত্তরপ্রদেশ এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় ১.৫ কিলোমিটার থেকে ৩.১ কিলোমিটার পর্যন্ত ঘূর্ণাবর্ত বিস্তৃত রয়েছে৷ উত্তর -পশ্চিম রাজস্থান এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও বিস্তৃত রয়েছে সাইক্লোনিক সার্কুলেশন৷ এছাড়াও মলদ্বীপের কাছাকাছিও তৈরি হয়েছে আরও একটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশন৷ এই চারটি সাইক্লোনিক সার্কুলেশের উপস্থিতির কারণেই দেশের আবহাওয়ায় দেখা দিয়েছে এমন তোলপাড়। এদিকে চারটি ঘূর্ণাবর্তের পাশাপাশি থাকছে জেট স্ট্রিম বয়ে যাওয়ার পরিস্থিতি৷ ১৪০-১৬০ নট প্রতি ঘণ্টা গতিতে সমুদ্রতল থেকে ১২.৫ কিমি ওপর দিয়ে উত্তর ভারতের সমতলের ওপর দিয়ে এই শীতল হাওয়া বয়ে যাবে৷ এর গতি থাকবে ২৫০ কিমি প্রতি ঘণ্টার চেয়ে বেশি৷ বৃহস্পতিবার কলকাতায় সকালে কুয়াশা ও পরে কয়েক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা। মূলত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে, বেলার দিকে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। কলকাতায় বৃহস্পতিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ২ ডিগ্রি নিচে। বুধবার বিকেলে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২০.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে যা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস নিচে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের সর্বোচ্চ পরিমাণ ৭১ থেকে ৯১ শতাংশ। আগামী ২৪ ঘণ্টায় কলকাতা শহরে তাপমাত্রা থাকবে ১৬ থেকে ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।