টানা আটটা ডার্বি জিতেছিল মোহনবাগান। এ বারের ডুরান্ড কাপে গ্রুপ পর্বে ডার্বি জিতে টানা নবম হার বাঁচিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপের ফাইনালে সেই কার্লেস কুয়াদ্রাতের টিমকে হারিয়ে ট্রফি জেতে মোহনবাগান। কলিঙ্গ সুপার কাপের সূচি প্রকাশ থেকেই ডার্বির উত্তেজনা শুরু হতে থাকে। মরসুমের তৃতীয় ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের দ্বিতীয় জয়। ০-১ পিছিয়ে পড়েও ৩-১ ব্যবধানে ডার্বি জয় ইস্টবেঙ্গলের। এ বারের সুপার কাপে আগের ম্যাচগুলোতে মোহনবাগান গোল খেয়ে প্রত্যাবর্তন করেছে। দুটো ম্যাচই জিতেছিল ২-১ ব্যবধানে। ডার্বিতে মোহনবাগান প্রথমে এগিয়ে যায়। ম্যাচের প্রথম ২০ মিনিট এক তরফা দাপট ছিল মোহনবাগানের। ১৯ মিনিটেই ১-০ এগিয়ে যায় মোহনবাগান। কর্নার থেকে হেডে গোল করেন হেক্টর ইউস্তে। সমতা ফেরাতে খুব বেশি সময় নেয়নি ইস্টবেঙ্গলও। ২৪ মিনিটে জোরালো শটে গোল করেন ইস্টবেঙ্গল ক্যাপ্টেন ক্লেটন সিলভা। ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সারা ম্যাচে বারবার চাপে ফেলেছেন সবুজ-মেরুনকে।
৬৩ মিনিটে লিড নেয় ইস্টবেঙ্গল। গোলকিপার প্রভসুখন গিলের লম্বা বল। রাজার বদলি হিসেবে নামা রবি রানার সামনে থেকে বল দখল বোরহার। তাঁর শট পোস্টে লাগে। ফিরতি বলে গোল নন্দকুমারের। ম্যাচের ৮০ মিনিটে দলকে সুরক্ষিত জায়গায় পৌঁছে দেন ক্যাপ্টেন ক্লেটন সিলভা। হিজাজির হেড আটকাতে ব্যর্থ মোহনবাগান গোলরক্ষক আর্শ আনোয়ার। তাঁর হাত ফসকে বল বেরিয়ে যায়। ফিরতি বলে গোল ক্লেটনের। ম্যাচে তাঁর দ্বিতীয় গোল।