ডাক্তারিতেও অ্যাডমিশন নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ

এবার ডাক্তারির ক্ষেত্রেও অ্যাডমিশনে জালিয়াতির অভিযোগ উঠল। ফলে নিয়োগ দুর্নীতি আর রেশন দুর্নীতির পর নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে চিকিৎসক ভর্তি নিয়ে। অভিযোগ, কাস্ট সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে অনেকে অ্যাডমিশন নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এই মামলার জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র বা কাস্ট সার্টিফিকেট দেখিয়ে ডাক্তারিতে ভর্তি নেওয়া হয়েছে। মামলাটি ওঠে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে। আর সেখানেই মামলাটির প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের কথা উল্লেখ করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, তবে কি এবার মেডিক্যালে ভর্তির বিষয়ে বড় নির্দেশ দিতে পারে আদালত তা নিয়েই।

ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট দেখিয়ে ভর্তি করা হয়েছে ডাক্তারিতে, এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা ইতশা সোরেন। অভিযোগ, তিনি ২০২৩ সালে নিট পাশ করেছিলেন। কিন্তু, সরকারি কলেজে ভর্তি হওয়ার সুযোগ তিনি পাননি। তাঁর আরও অভিযোগ, জাল কাস্ট সার্টিফিকেট দেখিয়ে ২৭ জন আসন দখল করেছিল। আর এর কারণেই তিনি বঞ্চিত হয়েছিলেন। তাঁর আরও অভিযোগ, কিছু কিছু প্রার্থীর পদবি ভৌমিক, সিংহ। তাঁরাও সংরক্ষিত আসনে ডাক্তারিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন।

এরপরই এই পদবির মানুষরা আদৌ কাস্ট সার্টিফিকেট পেতে পারেন কিনা, তা জানতে চান বিচারপতি। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,’আমি সব পক্ষের বক্তব্য জানতে চাই। প্রয়োজনে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেব।’ এই বিষয়ে কেন তদন্ত হয়নি তাও জানতে চাওয়া হয়েছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে।

বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্নের ভিত্তিতে সরকার হলফনামাও জমা দেয়। এদিকে ইতশাকে ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজে যাতে ভর্তি করা হয় সেই নির্দেশও দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত, এর আগে নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। শুধু তাই নয়, তাঁকে বেতন বাবদ প্রাপ্ত সমস্ত টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশও দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − 4 =