ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় শেষ পর্যন্ত আলিপুর আদালতে হাজিরা দিলেন অভিনেত্রী এবং তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান৷ আলিপুর জাজেস কোর্টের নির্দেশে এই হাজিরা অভিনেত্রীর। আদালত সূত্রে খবর, ফ্ল্যাট প্রতারণা মামলায় এ দিন চার হাজার টাকার সিকিউরিটি বন্ডে জামিন নেন বসিরহাটের সাংসদ৷ ফলে আপাতত স্বস্তি পেলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, নিম্ন আদালতের নির্দেশ বহাল রেখেছিল আলিপুর জাজেস কোর্ট। সেই মোতাবেকই এই হাজিরা বলেই আদালত সূত্রে খবর। যদিও এদিন তাঁর হাজিরার দিন ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে। আগামী ২৪ জানুয়ারি অভিনেত্রীকে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল।কিন্তু, এদিনই তিনি চলে এসেছিলেন আদালতে।
এদিকে এই মামলায় সেভেন সেন্সস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে যে সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে সেই সংস্থারই এক সময়ের ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত। অভিযোগ, ২০১৪ সালে নিউ টাউনে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে ৪২৯ জন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাঙ্ক কর্মীর কাছ থেকে সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকা করে অগ্রিম নিয়েছিল একটি সংস্থা৷ সেই সময় ওই সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত৷ সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ কোটি টাকা তোলে ওই সংস্থা৷ কিন্তু ৯ বছর কেটে গেলেও কেউই ফ্ল্যাট পাননি বলে অভিযোগ। অভিযোগকারীদের দাবি, সেই টাকাতে লাভবান হয়েছিলেন খোদ নুসরত। তিনি নিজেও কিনেছিলেন ফ্ল্যাট। পাম অ্যাভিনিউতে কেনা হয়েছিল কোটি টাকার ফ্ল্যাট। যদিও নুসরত আগেই দাবি করেছিলেন যে অভিযোগ উঠছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই সংস্থা থেকেই ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৩০ হাজার ২৮৫ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন। যদিও অন্যতম ডিরেক্টর রাকেশ সিং দাবি করেছিলেন, কোনও ঋণই দেওয়া হয়নি নুসরতকে। ফলে যাঁরা টাকা দিয়েছিলেন, তাঁরা নুসরতের বিরুদ্ধে গড়িয়াহাট থানায় প্রতারণার অভিযোগ করেন৷ এর পরেই নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা শুরু হয়৷ আর এই মামলাতেই আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে না চেয়ে আলিপুর জজ কোর্টে আবেদন করেছিলেন নুসরত৷ কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দিয়ে তাঁকে নিম্ন আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ বহাল রাখেন বিচারক৷ এরপরই এদিন আলিপুর আদালতে যান নুসরত৷ যদিও আদালতের নির্দেশ ছিল, আগামী ২৪ জানুয়ারি হাজিরা দিতে হবে নুসরতকে৷ তার আগে এ দিনই আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আলিপুর আদালতে পৌঁছে যান অভিনেত্রী।