পদ্মফুল বিলি করে বইমেলা প্রাঙ্গনে রাম মন্দির উদ্বোধন পালনের চেষ্টা বঙ্গ বিজেপির  

২০২৪-এর আন্তর্জাতিক বইমেলাতেও লাগল রাজনীতির রং। ২২ জানুয়ারি রাম মন্দির উদ্বোধন উলক্ষ্যে রাজ্য জুড়ে নানা জায়গায় পালিত হয়েছে নানা অনুষ্ঠান। যার পিছনে রয়েছে বঙ্গ স্যাফ্রন ব্রিগেডের বড় থেকে মাঝারি মাপের কোনও না কোনও নেতা। তাঁদের তরফ থেকে এমনটাও দাবি করা হচ্ছে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠিত হল এবার ভারতবর্ষে। এদিকে এই রাম মন্দির উদ্বোধনের অনুষ্ঠানের আঁচ পৌঁছে গেল একেবারেই রাজনীতি থেকে শতহস্তে দূরে থাকা কলকাতা বইমেলা চত্বরে। সৌজন্যে বিজেপি নেতা রুদ্রনীল ঘোষ। এদিন খুদে খুদে বাচ্চাদের রামচন্দ্র সাজিয়ে বইমেলায় নিয়ে আসেন তিনি। উদ্দেশ্য ছিল, বাচ্চাদের হাত দিয়ে বইমেলায় আগতদের হাতে পদ্মফুল উপহারস্বরূপ তুলে দেওয়া। এদিকে আবার রুদ্রনীল ঘোষের নেতৃত্বে বেশ কিছু বিজেপি সমর্থকও বইমেলায় আসেন। পরিকল্পনা মতোই এদিন বইমেলা প্রাঙ্গণে ঢুকে সাধারণ মানুষজনের হাতে পদ্ম ফুল তুলে দিতে থাকেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। সঙ্গে কেউ কেউ জয় শ্রীরাম ধ্বনিও তোলেন। এদিকে পদ্মফুল বিলির কর্মসূচির খবর পেয়েই সেখানে পৌঁছে যান বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের পদস্থ আধিকারিকেরা। এরপরই বইমেলা প্রাঙ্গণের ভিতরে পদ্মফুল বিতরণে আপত্তি জানায় বিধাননগর পুলিশ। বাধা দেওয়া হয় রুদ্রনীলদের পদ্মফুল বিলির কর্মসূচিতে। এরপরই পুলিশের সঙ্গে একপ্রস্থ উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন বিজেপির সমর্থকরা। পুলিশের তরফে যুক্তি দেওয়া হয়, বইমেলা কোনওরকম বিক্ষোভ-প্রদর্শনের জায়গা নয়। বইমেলা চত্বরে কোনও প্রদর্শন করা যাবে না। বইমেলার পরিবেশ যাতে নষ্ট না করা হয়, সেই কথা বলা হয় পুলিশের তরফে।

অন্যদিকে রুদ্রনীল ও বিজেপি সমর্থকদের বক্তব্য, এখানে কোনও বিক্ষোভ প্রদর্শন চলছিল না। পদ্মফুল বিলি করা হচ্ছিল মাত্র। পুলিশ বাধা দেওয়ার কারণেই বিক্ষোভের পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তাঁদের বক্তব্য, এটি কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিই নয়। পুলিশের তরফে বিষয়টি জোর করে রাজনৈতিক বিষয় দেখানোর চেষ্টা চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seventeen − eight =