স্কুল সার্ভিস কমিশনের পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যান শেখ সিরাজউদ্দিনকে অবিলম্বে বহিষ্কার করুন। রাজ্যকে এমনই নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে স্ত্রীকে বেনিয়মে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এসএসসি-র এই কর্তার বিরুদ্ধে। সোমবার এই সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে রাজ্যকে বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু এও জানান, ‘অবিলম্বে শেখ সিরাজউদ্দিনকে হেফাজতে নিন। তাঁর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। অবিলম্বে পদক্ষেপ করুন।’ পাশাপাশি এই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমিত্র সরকারকেও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি বসু। আদালত সূত্রে খবর, আগামী বুধবার সশরীরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। মুর্শিদাবাদের গোথা হাইস্কুলের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে এই নির্দেশ দেন বিচারপতি।
ঘটনার সূত্রপাত, ২০১১ সালে পরীক্ষা দেন সিরাজের স্ত্রী জাসমিন খাতুনের পরীক্ষা দেওয়া এবং ২০১৫ সালে সেই প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়াকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, ২০১৯ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকে চাকরি পেয়েছেন জাসমিন। আরল এই চাকরি হয়েছে খোদ শিক্ষাকর্তা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকেই নিজের স্ত্রীকে চাকরি দিয়ে। এরপরই প্রশ্ন ওঠে, প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার চার বছর পর কীভাবে চাকরিতে নিয়োগ তা নিয়ে। এই প্রসঙ্গে জাসমিন খাতুন অবশ্য জানিয়েছিলেন, ২০১৯ সালেই চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। তবে এর থেকে আর বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি। এমনকি মুখে কুলুপ আঁটতে দেখা গিয়েছিল স্বামীর প্রভাবের ব্যাপারেও।