সন্দেশখালির ঘটনায় যে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই বিশেষ তদন্তকারী দলের মাথায় সিবিআই আধিকারিক থাকার পাশাপাশি রাজ্য পুলিশের উচ্চ-পদস্থ আধিকারিকদের থাকার নির্দেশও দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। আদালতের নির্দেশ অনুসারে এই দলে থাকার কথা সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের এসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের। আদালতের নির্দেশ, সিট চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিতে পারবে। এদিকে ইডি সূত্রের খবর, তদন্তে রাজ্য পুলিশের উপস্থিতি চাইছে না ইডি। ইডির তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সিট নয়, সন্দেশখালির ঘটনার পুরো তদন্তের ভার দেওয়া হোক সিবিআইকে। এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে চলেছে এনফোর্স ডিরেক্টরেট। দ্রুত এই মর্মে আবেদন করা হবে বলেও জানা গেছে ইডি সূত্র মারফৎ।
প্রসঙ্গত, সন্দেশখালির ঘটনায় মোট তিনটি মামলা রুজু হয়েছিল ন্যাজোট থানায়। তার মধ্যে একটি এফআইআর দায়ের করেন ইডি আধিকারিকরা। স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা রুজু করে পুলিশ। তৃতীয় এফআইআর-টি করেন সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখের বাড়ির কেয়ারটেকার। হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ অনুযায়ী এর মধ্যে প্রথম দুটি এফআইআর এর তদন্ত করবে সিট। উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে রেশন দুর্নীতির তদন্তে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার পর ইডি আদালতে জানায় যে রাজ্য পুলিশের উপর তাদের ভরসা নেই। অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছিল পুলিশ নিজের যাবতীয় কর্তব্য পালন করেছে। এমনকী বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।