৩৭০ -এর বেশি আসন নিয়ে ফেরার ভবিষ্যতবাণী নমোর

আসন্ন ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কত আসনে জিতে ক্ষমতায় ফিরবে তা সোমবার সংসদে দাঁড়িয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ এদিন লোকসভার বাজেট অধিবেশনের জবাবি ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, বিজেপি একাই ৩৭০টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চলেছে৷ এনডিএ জোট চারশোর বেশি আসন দখল করবে বলেও দাবি করেন নরেন্দ্র মোদি৷ এদিন কোনও রাখঢাক না করেই প্রধানমন্ত্রী জানান, তৃতীয় বার তাঁর নেতৃত্বে সরকার গঠন হওয়া এখন সময়ের অপেক্ষা৷ এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসের হাল আরও করুণ হবে বলেও দাবি করেন মোদি৷ এরই রেশ ধরে তাঁর কটাক্ষ, ভোটের ফলে দেখা যাবে সংসদের দর্শক গ্যালারিতে ঠাঁই হয়েছে কংগ্রেসের৷

এদিনের শুরু থেকেই এদিন তাঁর নিশানায় ছিল কংগ্রেস।সরাসরি কংগ্রেসকে বিদ্ধ করে তিনি জানান, ‘বিরোধী হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।’ এরই পাশাপাশি বিরোধীদেরকেও বিদ্ধ করে নমো বলেন, ‘দশকের পর দশক উলটোদিকে বসার সংকল্প নিয়ে ফেলেছেন বিরোধীরা।জনতা তো ভগবানের প্রতীক। আপনারা যেভাবে পরিশ্রম করছেন, আমার মনে হয় ভগবানরূপী জনতা আপনাদের দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করবেন এবং সঠিক জায়গায় বসার ব্যবস্থা করে দেবেন।’

এরপরই কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর রঞ্জনকে কটাক্ষ করে মোদি বলেন, ‘কতদিন আর সমাজকে বিভক্ত করবেন। বন্ধ করুন এই বিভাজন। আপনারা দেশকে অত্যন্ত হতাশ করেছেন। আপনাদের ভাবনা নিয়ে করুণা হয় আমার। নেতা তো বদলে ফেলেছেন আপনারা। কিন্তু  টেপ রেকর্ডার এক রয়ে গিয়েছে। সেই পুরনো রাগ বেজে চলেছে টেপ রেকর্ডরে। নির্বাচনের বছর, পরিশ্রম করে কিছু নতুন নিয়ে আসুন। এটাও কি আমি শিখিয়ে দেব?’ পাশাপাশি নমোর সংযোজন, ‘অধীরবাবুর অবস্থা আমি বুঝতে পারি। পরিবারতন্ত্রের সেবা তো করে যেতেই হবে তাঁকে।খাড়গে এই কক্ষ থেকে ওই কক্ষে চলে গেলেন। গুলাম নবিজি তো পার্টি থেকেই শিফট করে গেলেন। পরিবারতন্ত্রের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন ওঁরা। একই প্রোডাক্ট বারবার লঞ্চ করার জন্য দোকান খুলেছেন। এই দোকানে তালা পড়ার সময় হয়ে এসেছে।’

এরই পাশাপাশি নমো কংগ্রেসকে বিদ্ধ করে জানান, দেশের কোটি কোটি পরিবারের কষ্ট, আকঙ্খা তারা দেখতে পায় না কারণ কংগ্রেস একটি পরিবারের মঝ্যেই ঘেঁটে গিয়েছে। সঙ্গে কটাক্ষের সুরে এও বলেন, কংগ্রেস ক্যানসেল কালচারে ফেঁসে গিয়েছে। কারণ তারা কেন্দ্রের সমস্ত প্রকল্পের বিরোধিতা করে। এরই রেশ ধরে মোদি এদিন এও বলেন, ‘আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভোটে লড়ার ইচ্ছে এবং সাহসও হারিয়ে ফেলেছেন। এরই পাশাপাশি মোদির সংযোজন, ‘বিপক্ষের যা পরিস্থিতি তার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী কংগ্রেস পার্টি। ১০ বছর সময় পেয়েও কংগ্রেস ভালো বিরোধী হতে পারল না। নিজে ব্যর্থ হওয়ার পর অন্যদেরও দমিয়ে রাখছে। নতুন নতুন নেতারা রয়েছেন। তাদের বলার সুযোগ দেওয়া হয় না। পাছে তাঁদের প্রতিচ্ছ্ববি ক্ষুন্ন হয় তাই কাউকে সুযোগ দেয় না। সংসদ, দেশ, নিজেদের এবং সকলের অবস্থা দুর্বিসহ হয়ে ওঠার পিছনে দায়ী একমাত্র কংগ্রেস।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

20 − two =