নিজের মৃত্যু নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়িয়ে ফ্যাসাদে মডেল তথা বলি অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডে। জরায়ু ক্যানসারের মতো একটি অতি সংবেদনশীল ইস্যুকে নিজের সস্তা প্রচারের জন্য ব্যবহারের অভিযোগে এবার আইনি চিঠি পাঠানো হল পুনমকে। আর তা পাঠানো হয়েছে কলকাতার এক সমাজসেবী অমিত রায়ের তরফ থেকে। অভিযোগ, প্রচারের আলোয় থাকার জন্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিজের মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হয়েছে। সঙ্গে এ অভিযোগও আনা হয়েছে যে, আত্ম-প্রচারের জন্য জরায়ু ক্যানসারের মতো একটি অতি স্পর্শকাতর বিষয়কে ব্যবহার করেছেন পুনম।
এই প্রসঙ্গে সমাজসেবী অমিত রায়ের বক্তব্য, লাখ লাখ মহিলা এই জরায়ু ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করছেন। আর এমন একটি বিষয়কে আত্মপ্রচারের জন্য ব্যবহার করা শুধুমাত্র অনৈতিক নয়, বিপজ্জনকও বটে। এই ‘পাবলিসিটি স্টান্ট’-এর জেরে মানুষের মধ্যে অহেতুক ভয়, উদ্বেগ জন্মেছে বলেও অভিযোগ অমিতবাবুর।
এমন অবস্থায় তাই এবার পুনম পাণ্ডেকে আইনি চিঠি পাঠিয়ে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা গেল অমিত রায়কে। কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী সায়ন সচিন বসু মারফত চিঠি পাঠিয়ে, পুনমকে এই ধরনের কাজের জন্য জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানান তিনি। একইসঙ্গে আগামী দিনে যাতে নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণ করতে এই ধরনের বিভ্রান্তকর কাজকর্ম থেকে বিরত থাকতেও বলেছেন। নাহলে আইনি পদক্ষেপ হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন অমিত রায়।
অমিত রায় জানাচ্ছেন, পুনম পাণ্ডের এই কীর্তিতে তিনি অত্যন্ত বিরক্ত। একইসঙ্গে তাঁর সংযোজন, মানুষের সেন্টিমেন্ট নিয়ে খেলা হচ্ছে। সস্তার প্রচার পাওয়ার চেষ্টা করেছেন পুনম পাণ্ডে। এতে আমি অত্যন্ত দুঃখিত, ব্যথিত। নিজের অনুরাগীদের সেন্টিমেন্ট নিয়েও উনি খেলেছেন। সেই কারণেই আমি আইনি পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছি। উনি যদি জনসমক্ষে ক্ষমা না চান, তাহলে আগামী দিনে আমি মামলা করব বলে ঠিক করেছি।’
এই বিষয়ে সমাজসেবী অমিত রায়ের আইনজীবী সায়ন সচিন বসু জানান, ‘আমরা ই-মেলের মাধ্যমে পুনম পাণ্ডেকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছি। কলকাতার ডেপুটি পুলিশ কমিশনারকেও এই আইনি নোটিসের প্রতিলিপি পাঠিয়েছি। আমরা বলেছি, পুনম পাণ্ডেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পুনমের এই মৃত্যু-বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল শুক্রবার। পুনম পাণ্ডে নাকি মারা গিয়েছেন। শুক্রবার সকালে আচমকা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে হইচই পড়ে যায়। অবিশ্বাসের কোনও কারণ ছিল না। কারণ মডেল-অভিনেত্রীর ম্যানেজার নিজে সেই মৃত্যু-সংবাদ শেয়ার করেছিলেন। সে সবের ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই নিজেই আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকট হলেন পুনম। জানালেন, তিনি মরেননি। মৃত্যু বিতর্কের মাঝেই ইনস্টাগ্রামে আবির্ভাব হয়ে জানালেন, জরায়ু ক্যানসার নিয়ে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতেই নাকি তিনি এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন।