সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে নিউটাউন কারিগরি ভবনের সামনে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে দেখানো হল বিক্ষোভ। এই বিক্ষোভে অংশ নেন রাজ্যের ৭০ জন শিক্ষক,শিক্ষিকা সহ অন্যান্য সরকারি কর্মচারিরাও। বিক্ষোভ আটকাতে ঘটনাস্থলে হাজির হয়বিধাননগর কমিশনারেটের বিশাল পুলিশ বাহিনী। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষকে কারিগরি ভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হলেও পরে বাকবিতণ্ডার পর পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। ভোকেশনালাইজেশন অফ স্কুল এডুকেশনের অধীনে ন্যাশনাল স্কিলস কোয়ালিফিকেশন ফ্রেমওয়ার্ক প্রকল্পে ২০১৩ সাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি বিদ্যালয়গুলোতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ১৩ টি বৃত্তিমূলক বিষয় যেমন ইনফরমেশন টেকনোলজি, রিটেল, হেল্থ কেয়ার, অটোমোটিভ , হসপিটালিটি এণ্ড ট্যুরিজম, প্লাম্বিং, অ্যাপারেল মতো নানা বিষয়ে শিক্ষাদান চললেও সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের দাবি এখানে বিপুল অঙ্কের দুর্নীতি হয়েছে। সরকারি বরাদ্দকৃত অর্থ বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সীর মাধ্যমে দুর্নীতি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, শিক্ষকদের বেতন গত ১১ বছর ধরে অনিয়মিত। এদিকে এক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে কোনও উদ্যোগই নেওয়া হয়নি। বরং বিভিন্ন প্রাইভেট এজেন্সি দিয়েশিক্ষকদের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ লুট হয়েছে। এমনকি ছাত্র ছাত্রীদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের টাকা, হাতে কলমে শিক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবের সরঞ্জামের টাকাও লুট করা হয়েছে। যার ফলে অধিকাংশ বিদ্যালয়ে ল্যাবের সরঞ্জাম মেলেনি এবং ল্যাবের পরিকাঠামো পর্যন্ত নেই। শিক্ষিকারা যাঁরা দীর্ঘ বছর ধরে এখানে শিক্ষকতা করছেন, তাঁদের মাতৃত্বকালীন সময়ে ছাঁটাই করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার কারিগরি দফতরে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল বৃত্তিমূলক শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ অধিকারের অধিকর্তা ও বিশেষ সচিবের কাছে স্মারকলিপি দেন। যেখানে শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ এবং বেতন কাঠামোর ব্যাপারেও উদ্যোগ গ্রহণ করতে বলা হয়।
সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ জানান, ‘আমরা ১০ দিনের মধ্যে দ্রুত সমাধান করতে বলেছি, এখানে শ্রম আইন পরিকল্পিতভাবে লঙ্ঘন করা হচ্ছে যা করা যায়না কখনো, দুর্নীতি বন্ধ করে এই সমস্যার সমাধান না হলে পরবর্তীতে লাগাতার বিক্ষোভ চলবে কারিগরী ভবনে এবং বিক্ষোভের পাশাপাশি আদালতে যাওয়া হবে এই সমস্ত বিষয়গুলি নিয়ে।’