প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টেরেটের তরফ থেকে এবার তলব করা হল কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকে। ইডি সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার তাঁকে সিজিওকমপ্লেক্সের অফিসে হাজিরা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তবে এই প্রথমবার বাপ্পাদিত্যকে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি সূত্রে খবর, যে মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার সেই মামলাতেই তলব করা হয়েছে পার্থ ঘনিষ্ঠ এই তৃণমূল কাউন্সিলরকে। বৃহস্পতিবার তাঁকে নিজের আয়কর রির্টান, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নম্বর ও আরও কিছু নথি নিয়ে ইডি-র দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত এই বাপ্পাদিত্য। শুধু ঘনিষ্ঠই নন, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়িতেও তাঁর অবাধ যাতায়াত ছিল বলেও তৃণমূলের তরফ থেকে দাবি করা হয়।
এর আগে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বাপ্পার বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। নিয়োগ সংক্রান্ত নথি বাজেয়াপ্ত হয়। বাপ্পাকে একদফা তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিকে সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সিবিআই অভিযান চালানোর সময় প্রায় ১০০ পাতার নথি তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার করেন কেন্দ্রীয় সংস্থায় আধিকারিকেরা। সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছিল সুপারিশপত্র, অ্যাডমিট কার্ডও। সেই সময়েই পার্থ চট্টোপাধ্যায় সংক্রান্ত একাধিক প্রশ্নও করা হয়েছিল তাঁকে।
তৃণমূলের অন্দরে কান পাতলে শোনা যায়, ২০০৬ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রথম আলাপ হয় বাপ্পাদিত্যর। ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশন লিমিটেডে যখন পার্থ চট্টোপাধ্যায় কর্মরত, সেখানেই তাঁর বাপ্পাদিত্যর সঙ্গে পরিচয় গড়ে ওঠে। দিনে-দিনে বাড়ে সখ্যতা। বাপ্পাদিত্য হিউম্য়ান রিসোর্সের বা এইচআর হিসাবে কাজ করতেন সেখানেই। বাপ্পাদিত্য এমনও বলেছেন, পার্থর কাছ থেকে কাজ শিখেছেন তিনি। কার্যত পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ‘গুরু’ বলেই মানতেই এই তৃণমূল নেতা।