পদ খোয়ালেন ঘাটালের তৃণমূল নেতা শঙ্কর দলুই, এমনটাই খবর তৃণমূল সূত্রে।ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান ছিলেন শঙ্কর। তাঁকে সেই পদ থেকে সরানো হল রবিবার। এবার তাঁর জায়গায় আনা হল রাধাকান্ত মাইতিকে। শঙ্কর দলুইকে তাঁর পদ থেকে অপসারণের ঘটনা প্রসঙ্গে ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি আশিস হুদাইত জানান, ‘এটা আমাদের রাজ্য তৃণমূলের বিষয়, যাঁরা সিদ্ধান্ত নেওয়ার জায়গায় তাঁরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। জেলা তৃণমূলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার তো জায়গা নেই। তাই আমার বলার কিছু নেই।’
প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিনে দেব ইস্যুতে শঙ্কর দলুইকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে উঠেছিল। এ নিয়ে শুধু ঘাটালের রাজনীতিতেই নয়, উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল বঙ্গ রাজনীতিও। এর পাশাপাশি দেবের রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে নানা জল্পনা শুরু হয়। এই রকমই এক উত্তপ্ত আবহে শনিবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ঘাটালের সাংসদ দেবের ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে মিনিট ৪৫-এর এক বৈঠকও হয়। এরপর সেখান থেকে কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে যান দেব। এরপর রবিবার তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান শঙ্কর দলুইকে অপসারিত করতেই বদলে যায় ঘাটালের রাজনৈতিক ছবিটা।
এদিকে সূত্রে খবর, সম্প্রতি একটি অডিয়ো ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে সেই ভাইরাল অডিয়োর সূত্র ধরে কাটমানির কথা প্রকাশ্যে আসে। এদিকে শঙ্করের দাবি করেছিলেন, এই কণ্ঠ তাঁর নয়। তবে সত্যি যাই হোক, এই বিতর্কের পর দেবের রাজনৈতিক অবস্থান, দলে থাকা এমনকী রাজনীতি থাকা নিয়েও নানা জল্পনা সামনে আসে।পরিস্থিতি ক্রমাগত ঘোরালো হয়ে উঠতে থাকায় তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হস্তক্ষেপ করেন।দেবের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক নিজে। শনিবারের সেই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলেই শনিবার তৃণমূলের অন্দর থেকে জানা গিয়েছিল। এদিকে দেবের তরফ থেকেও জানানো হচ্ছিল,, তিনি রাজনীতি ছাড়তে চাইলেও রাজনীতি তাঁকে ছাড়বে না। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য তাঁর কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এরই পাশাপাশি দলের তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী জানিয়েছিলেন, আবারও ঘাটালে দেব-ই প্রার্থী হচ্ছেন। তবে দেবের পর্ব মিটলেও শঙ্করকে পদ থেকে সরানোর কোনও আভাস পাওয়া যায়নি রবিবার সকাল পর্যন্ত।