গত সপ্তাহে সন্দেশখালিতে দেখা যায় লাঠি হাতে গ্রামের মহিলারা একত্রিত হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তর সর্দার ও শিবু হাজরার বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর সব অভিযোগ সামনে আনেন তাঁরা। রাতের অন্ধকারে মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হত দলীয় কার্যালয়ে, এমন অভিযোগও সামনে এসেছে। এই সব ঘটনায় অভিযুক্ত উত্তর সর্দার ধরা পড়লেও বেপাত্তা শিবু হাজরা। আর এই প্রসঙ্গেই রাজ্যকে আদালতের প্রশ্ন, ‘এখন লাঠি হাতে গ্রামবাসী কিছু মহিলাকে দেখতে পাচ্ছেন। সেই পুরুষদের কী হল, যাঁদের বিরুদ্ধে এই মহিলারা ধর্ষণের এবং জমি দখলের অভিযোগ করছেন? তাঁদের ভেড়িতে দিনের পর দিন বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করানোর অভিযোগ করছেন?’ বিচারপতি রাজ্যের কাছে এও জানতে চান, ‘পুলিশ তিন বছর ধরে কোনও অভিযোগ নেয়নি বলে অভিযোগ। আপনারা এই গ্রামবাসীদের এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একত্রিত হতে দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ। আপনাদের মতে এই পরিস্থিতিতে আদালতের কী করণীয়?’
বর্তমানে সন্দেশখালির পরিস্থিতি কী, তা জানতে চাইলে এদিন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের থেকে পাওয়া তথ্য মোবাইলে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তকে দেখায় রাজ্য। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, ডিআইজি-সিআইডি সোমা দাস মিত্রকে ওই এলাকায় বিশেষ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযোগ গ্রহণ করছেন। রাজ্য আরও জানিয়েছে যে, রাজ্যের সর্বত্র রুটিন বদলি হয়েছে, তাই ওই এলাকায় যাঁরা আছেন, তাঁরা প্রায় প্রত্যেকেই নতুন। এ কথা শুনে রাজ্যকে বিচারপতি বলেন, ‘মানুষের মনে যতক্ষণ না পর্যন্ত আস্থা ফিরছে, ততক্ষণ ওই এলাকায় যে পদমর্যাদার আধিকারিককেই মোতায়েন করা হোক না কেন, তাতে কোনও লাভ হবে না।’