পুলিশের গাড়ির বনেট থেকে পড়ে সংজ্ঞাহীন সুকান্ত

পুলিশের গাড়ির বনেট থেকে পড়ে সংজ্ঞাহীন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বসিরহাট জেলা হাসপাতালে। এরপর সেখান থেকে কলকাতার এক হাসপাতালে। গাড়ির মধ্যে শুইয়ে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রাজ্য বিজেপির নেতাকে। সূত্রে খবর, এদিন সঙ্গে ছিলেন বিজেপির নেতা কর্মী সমর্থকেরা।

প্রসঙ্গত, বুধবার সন্দেশখালিতে যাওয়ার কথা ছিল সুকান্ত মজুমদারের। পুলিশি বাধা পেয়ে এদিন ইছামতী নদীর তীরে সরস্বতী পুজো করেন সুকান্ত মজুমদার। এরপরও সন্দেশখালি যাওয়ার মনোভাবে অনড় থাকেন সুকান্ত। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। এরপর একসময় পুলিশের গাড়ির বনেটে উঠে পড়েন সুকান্ত মজুমদার। অন্যদিকে এরই মাঝে গাড়ি পিছনের দিকে সরানোর চেষ্টা করেন পুলিশের চালক। সেই সময়ই শরীরে ভারসাম্য রাখতে না পেড়ে পড়ে যান সুকান্ত মজুমদার। মাটিতে পড়ে গিয়েই অসুস্থ হয়ে যান তিনি। সংজ্ঞা হারান সুকান্ত। দলের রাজ্য সভাপতিকে অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখে হুড়োহুড়ো শুরু হয়ে যায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে। তড়িঘড়ি তাঁকে তাঁর গাড়িতে শুইয়ে বসিরহাট জেলা হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়।

এদিকে পথে দীর্ঘ যানজটের মধ্যে পড়তে হয় সুকান্ত মজুমদারের গাড়িকে। দেখা যায় দলের নেতা কর্মী ও তাঁর নিরাপত্তারক্ষীরাও যানজট সরিয়ে গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। কনভয়ের মাঝে ছিল পুলিশের গাড়ি। সেক্ষেত্রে পুলিশ যানজট কাটিয়ে সাংসদের গাড়ি এগিয়ে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেনি বলেই অভিযোগ তোলেন বিজেপির নেতা কর্মী সমর্থকেরা। দীর্ঘ যানজট কারিয়ে দুপুর ৩টের একটু আগে বসিরহাট পৌঁছয় সাসংদের গাড়ি। সেখানে পৌঁচানোর পরই তাঁকে অক্সিজেন মাস্ক দেওয়া হয়। সঙ্গে রক্তচাপ মেপেও দেখা হয়।

বিজেপি সূত্রে খবর, সরস্বতী পুজোর জন্য এদিন সকাল থেকেই উপবাস করেছিলেন সুকান্ত মজুমদার। এদিন সন্দেশখালিতে গিয়েই পুজো করার পরিকল্পনা করেন তিনি। আর যদি পথে কোথাও বাধা পান, তাহলে সেখানেই পুজো করা হবে বলে জানা যায়। এরপর বেলার দিকে টাকির যে হোটেলে তিনি মঙ্গলবার রাত্রিবাস করেছেন, সেখান থেকে বেরোনোর চেষ্টা করেন। তবে বাধা দেয় পুলিশ। তারপরেই ইছামতীর তীরে পুজোর আয়োজন করা হয়। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে সরস্বতী ঠাকুরের মূর্তির হাত ভেঙে যায় বলে অভিযোগও করেন সুকান্ত মজুমদার। এই ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও পুলিশ প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। তারপর সন্দেশখালি যাওয়ার জন্য উদ্যোগী হতেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। আর তখনই পড়ে গিয়ে অসুস্থ হন সুকান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five + eleven =