সরস্বতী পুজোর দিন দুপুরে আচমকাই শহরে পা রাখলেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধি। বুধবার দুপুর তিনটে ১০ মিনিট নাগাদ দমদম বিমানবন্দরে নামেন প্রিয়াঙ্কা। তবে ঠিক কেন হঠাৎ প্রিয়াঙ্কার রাজ্যে আগমন সেটা এখনও স্পষ্ট নয়। হঠাৎ প্রিয়াঙ্কার রাজ্যে আগমন নিয়েও প্রদেশ নেতারাও খানিক অন্ধকারে। সূত্রের খবর, শহরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। বালিগঞ্জে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের এক আত্মীয়ের বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দেবেন প্রিয়াঙ্কা। তবে তাঁর আর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি আছে কিনা স্পষ্ট নয়।
এদিকে বিগত বেশ কয়েক মাস প্রিয়াঙ্কাকে তেমন সক্রিয়ভাবে দেখা যায়নি। বলা ভালো, দীর্ঘদিন অন্তরালে ছিলেন। এমনকী রাহুল গান্ধির ন্যায় যাত্রাতেও দেখা যায়নি তাঁকে। এই ঘটনায় দাদা রাহুলের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য নিয়েও জল্পনা ছড়ায়। তবে সেসব জল্পনা উড়িয়ে বুধবারই সোনিয়া গান্ধির রাজ্যসভার মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় জয়পুরে উপস্থিত ছিলেন। এরপর জয়পুর থেকেই সরাসরি কলকাতায় আসেন তিনি।
এদিকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, প্রিয়াঙ্কার রাজ্যে আগমনের নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণও থাকতে পারে। রাজ্যে তৃণমূলের সঙ্গে জোট ভেঙে গিয়েছে। লোকসভায় কীভাবে লড়াই করা হবে, সেটা নিয়েও ধন্দে রয়েছেন প্রদেশ নেতারা। এই অবস্থায় প্রিয়াঙ্কা এসে তাদের দিশাও দেখাতে পারেন। একইসঙ্গে আরও একটা সম্ভাবনার কথা উড়িয়ে দিচ্ছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। গত প্রায় এক সপ্তাহ ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। প্রিয়াঙ্কা হঠাৎ সেখানেও যেতে পারেন। কংগ্রেসের শীর্ষ নেত্রী হঠাৎ সন্দেশখালি চলে গেলে, সেটা রাজ্য এবং জাতীয় রাজনীতিতে চমকপ্রদ হতে পারে। এদিকে এবার প্রথম লোকসভায় লড়বেন গান্ধি পরিবারের সদস্যা। তার আগে কলকাতায় কালীঘাটে পুজো দিতেও আসতে পারেন প্রিয়াঙ্কা।