জেলে ঢোকার আগেই গর্ভবতী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মহিলা বন্দি

জেলে ঢোকার আগেই গর্ভবতী ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ মহিলা বন্দি। শীর্ষ আদালতকে এমনাটই জানালেন আদালত বান্ধব। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টে জমা পড়া এক রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্যে ১৯৬ জন মহিলা বন্দি গর্ভবতী বলে জানা যায়। এরপরই গর্ভস্থ অধিকাংশ ভ্রুনের পিতৃত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন হাইকোর্টের মামলায় নিযুক্ত আদালত বান্ধব। এই বিতর্কের পরিপ্রেক্ষিতেই সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের জবাবে মেলে ওই উত্তর। আদালত বান্ধব জানান, অধিকাংশ গর্ভবতী বন্দী আসন্নপ্রসবা হিসেবেই কারান্তরালে আসেন। কিছু ক্ষেত্রে প্যারোলে বাড়ি যাবার পর বন্দি গর্ভবতী হন এমনটাই জানান বর্ষীয়ান আইনজীবী ও আদালত বান্ধব গৌরব আগরওয়াল।

প্রসঙ্গত, বিগত চার বছরে পশ্চিমবঙ্গের জেলগুলিতে ৬২টি সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে। কারা বিভাগের এডিজি ও আইজি এই তথ্য পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। উল্লেখ্য, হাইকোর্টে আদালত বান্ধবের প্রস্তাব ছিল, কারাগারে যেখানে মহিলা বন্দিরা থাকেন, সেখানে পুরুষদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হোক।

এরই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টে আদালত বান্ধবের প্রস্তাব প্রতিটি মহিলা সংশোধনাগারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সেই জেলার বর্ষীয়ান মহিলা পুলিশ অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে নিয়মিত পরিদর্শন করবেন সেই জেলার মহিলা বিচার বিভাগীয় অফিসার। এর পাশাপাশি তিনি এও জানান, সংশোধনাগারে ঢোকার আগে প্রত্যেক মহিলা বন্দীর স্বাস্থ্যপরীক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে। সেই ব্যবস্থা কার্যকর থাকছে কিনা এবং সংশোধনাগারে মহিলা বন্দিদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ স্বার্থে পর্যাপ্ত মহিলা কর্মী আছেন কিনা, তাও দেখবেন আধিকারিকেরা। একইসঙ্গে এও প্রস্তাব রাখা হয়েছে, মহিলা সংশোধনাগারে বন্দিদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিকাঠামো শক্তিশালী করার স্বার্থে সমস্ত শূন্য পদ পূরণ করতে হবে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, বন্দিনীর সঙ্গে থাকা সন্তানদের পড়াশুনা অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার স্বার্থে জেলার শিশু কল্যাণ কমিটির এক মহিলা সদস্যকে দায়িত্ব দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × 3 =