২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী ছিলেন মিমি চক্রবর্তী। বাম নেতা বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে হারিয়ে সাংসদ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। এরপর পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে। সামনেই ফের লোকসভা নির্বাচন। এরই মধ্যে সংসদীয় রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। সূত্রের খবর, সম্প্রতি তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লিখে এ কথা জানিয়েছেন মিমি। ক্ষোভ আর মানসিক যন্ত্রণা থেকেই এমন সিদ্ধান্ত বলে চিঠিতে দাবি যাদবপুরের সাংসদের।
এরই পাশাপাশি বৃহস্পতিবার মিমি-র সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। তার আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি মিমি একটি চিঠি দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর। জানা যাচ্ছে, সেই চিঠিতে মিমি লিখেছেন, ‘গত পাঁচ বছরে আমাকে রাজনৈতিকভাবে অপদস্থ করা হয়েছে। আমি দলের সৈনিক হিসেবে থাকব। এই অপমান, উপেক্ষা আর নিতে পারছি না।’ অর্থাৎ তিনি যে আর ভোটে লড়তে চাইছেন না, সে কথা ছত্রে ছত্রে স্পষ্ট। শুধু তাই নয়, মিমি ওই চিঠিতে দাবি করেছেন কখনও মঞ্চে, কখনও ফোনে তাঁকে অপমানিত হতে হচ্ছে। তবে কারও বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ জানাননি তিনি।
এদিকে সম্প্রতি ঘাটালের সাংসদ দেবের মুখেও রাজনীতি শোনার কথা শোনা গিয়েছিল। পরে তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা বলেন মমতাও। এরপর মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা যায় দেব-কে।
মিমির এই চিঠি প্রসঙ্গে সাংসদ দেব-এর কথা উল্লেখ করে বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘শিল্পীরা বীতশ্রদ্ধ হয়ে গিয়েছেন। তৃণমূল নিজের স্বার্থে এই শিল্পীদের ব্যবহার করে। তৃণমূলের পচা গন্ধ এই শিল্পীদের গায়ে ফেলে দেয়।’ সঙ্গে সুজনের সংযোজন, ‘মমতা ঘুম থেকে উঠে যাঁর নাম মনে পড়ে, তাঁকে দাঁড় করান। মানুষের পাশে থাকার রাজনীতি তৃণমূলের কাছ থেকে আশা করা যায় না।’ তবে এবার তৃণমূলের বাহিনী মিমি-কে সামনে রেখে টাকা-পয়সা লুঠ করেছে, তার জন্য ক্ষুব্ধ হতে পারেন সাংসদ।