মুকুল রায়কে তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে ঠিক কোন মামলায় তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। ১৬ তারিখ অর্থাৎ আগামীকাল শুক্রবারের মধ্যে দিল্লিতে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে মুকুলকে, অন্তত এমনটাই ইডি সূত্রে খবর। যদিও মুকুল রায়ের বর্তমান যা শারীরিক পরিস্থিতি তাতে তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয় বলেই জানাচ্ছে তাঁর পরিবার।
এই প্রসঙ্গে মুকুল রায়ের পুত্র শুভ্রাংশু রায় জানান, ‘ কোন মামলা কিছু উল্লেখ করা নেই। শুধু বলেছে ১৬ তারিখের মধ্যে দেখা করতে। যাওয়ার মতো পরিস্থিতি নেই, শরীরের যা কন্ডিশন, কাউকে চিনতেও পারেন না এখন, হাঁটতেও পারে না। দু’তলা থেকে একতলায় নামতেও পারেন না, নামলেও কিছুক্ষণের মধ্যে অস্বস্তি বোধ করেন।’ তবে এক্ষেত্রে তিনি যে দিল্লিতে যাবেন না, সেই বিষয়ে ইডিকে কিছু জানান হবে কি না, তা নিয়েও এখনও কিছু ঠিক করা হয়নি বলেই জানান মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু।
প্রসঙ্গত, এর আগে সারদা মামলায় নাম জড়িয়েছিল মুকুল রায়ের। তদন্ত যত এগিয়েছে ততই বারেবারে উঠে এসেছে তাঁর নাম। অতীতে সেই মামলায় তাঁকে তলব করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় এই এজেন্সির তলবে সেই সময় সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরাও দিতে দেখা যায় মুকুল রায়তে। পরবর্তী সময়ে নারদ মামলাতেও তাঁর জড়িয়েছে। সেই সময়ও তাঁকে তলব করে সিবিআই।
এদিকে এরই মাঝে বাংলার রাজনৈতিক মানচিত্রেও বেশকিছু উত্থানপতন এসেছে। তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা লগ্নের এই সদস্য, একসময় ঘাসফুল শিবির ছেড়ে যোগ দেন বিজেপিতে। কয়েক বছর গেরুয়া শিবিরে থাকেন তিনি। গত বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিজেপির টিকিটে লড়াই করে বিধায়কও হন তিনি। যদিও পরবর্তীতে ফের ‘ঘর ওয়াপসি’ হয় মুকুল রায়ের। পুরনো দল তৃণমূলেই ফিরে আসেন তিনি। তবে বিগত বেশকিছু সময় ধরে শারীরিক অসুস্থতার জন্য প্রত্যক্ষ রাজনীতিতে আর দেখা যাচ্ছে না মুকুল রায়কে।