গাদিয়াড়ার ফেরিঘাটকে ঘিরে সামনে আসছে একগুচ্ছ বেনিয়মের অভিযোগ

নদীপথে দক্ষিণ ২৪ পরগনা নূরপুর ও পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালির সঙ্গে হাওড়ার গাদিয়াড়ার যোগাযোগের জন্য শ্যামপুরের গাদিয়াড়ায় রয়েছে একটি পুরনো জেটি ও একটি নতুন জেটি। এবার এই জেটিঘাটগুলিকে ঘিরেই উঠছে একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ। এই ঘটনায় নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়, সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সহ হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ এস এস লিমিটিডের চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে অভিযোগও জানানো হয়েছে। হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ এস এস লিমিটেড সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

নদীপথে ফেরি পরিষেবার মাধ্যমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন এই অঞ্চলের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পর্যটকেরা। গাদিয়াড়া লঞ্চ ঘাটে একটি পুরনো ভাসমান জেটির পাশাপাশি বছর খানেক আগে আরও একটি নতুন ভাসমান জেটিও আনা হয়। আর এই জেটিঘাটগুলিতেই বেনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন এলাকাবাসী। স্থানীয়দের অভিযোগ, এই জেটিঘাটে যাত্রীরা টিকিট কাটলেও তাঁদের ঠিকমত টিকিট দেওয়া হয় না। এমনকী অনেক সময় বিনা টিকিটেই নদী পারাপারও করেন তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, আরও অভিযোগ, ফেরি পারাপারের নির্ধারিত ভাড়া থাকলেও, অনেক সময় সেই ভাড়ার পরিবর্তে বাড়তি ভাড়াও নেওয়া হয়। এরই পাশাপাশি যাত্রীরা এও জানান, দুটি ভাসমান জেটি থাকলেও তার মধ্যে একটিই ব্যবহার করা হয়। আর শুধু তাই নয়, নতুন জেটি ফেরি চলাচলের জন্য ব্যবহার না করে সেখানে পার্শ্ববর্তী জাহাজ কারখানার জাহাজ মেরামতের কাজ হয় বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় আঙুল উঠেছে জেটিঘাটের ইনচার্জ অশোক পালের দিকেই। তারই মদতে এই সব ঘটনা হচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অভিযোগ অবশ্য পুরোপুরি অস্বীকার করেন অশোক পাল। এই অভিযোগকেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়েও দেন তিনি। অশোকের দাবি, এই ধরনের অভিযোগের কোনও সারবত্তা নেই। সঙ্গে প্রত্যয়ের সঙ্গে এও জানান,  বিভাগীয় তদন্ত হচ্ছে, তদন্ত হলেই আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে।

এদিকে এই বিষয়ে হুগলি নদী জলপথ পরিবহণ এস এস লিমিটেডের ডিরেক্টর অজয় দে জানান, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। আমরা স্থানীয় বিধায়ক কালিপদ মণ্ডলের উপস্থিতিতে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। অশোক পাল সহ অন্যান্যদের সঙ্গে কথা বলেছি। অশোক পালকে শোকজের চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেই চিঠির উত্তর পাওয়ার পরই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − two =