হাতিবাগান সর্বজনীনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের

একটি সর্বজনীন দুর্গাপুজোর প্যান্ডেলের জন্য সাধারণ মানুষের অসুবিধে হচ্ছে এবং পুলিশ ও দমকলকে জানানো সত্ত্বেও প্রতিকার হচ্ছে না, এমনই এক অভিযোগে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। যাদের বিরুদ্ধে অভযোগ, সেটি উত্তর কলকাতার অন্যতম বড় দুর্গাপুজো হাতিবাগান সর্বজনীন। অভিযোগ, তাদের প্যান্ডেলের জন্য স্থানীয় একটি আবাসনে যাতায়াতের পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এ ব্যাপারে বড়তলা থানা ও দমকলের কাছে এই নিয়ে অভিযোগ জানানোর পরেও তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি।

এই মামলার শুনানিতে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের নির্দেশ দেন, এই ব্যাপারে বড়তলা থানা ও দমকলকে তাদের বক্তব্য হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। এলাকার মানুষের আপত্তি থাকলেও কী ভাবে ওই প্যান্ডেলের অনুমতি দেওয়া হলো, সেটা জানাতে হবে হলফনামায়। উত্তর কলকাতার ওই পুজো মণ্ডপ ও তার আশপাশের এলাকার ছবি দেখে বিচারপতির মন্তব্য, এমন ভাবে প্যান্ডেল হলে যে কোনও মানুষের সমস্যা হবে। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, আগামী ১২ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।

তবে কেবল ওই একটি প্যান্ডেল নয়, বিচারপতির বক্তব্য, পুজোয় এই ধরনের সমস্যা বহু এলাকার মানুষকে ভোগ করতে হয়। যেটুকু ফুটপাথ যাতায়াতের জন্য থাকে, তাতে প্রবীণ নাগরিকদের পক্ষে হাঁটাচলা করা খুবই সমস্যার। ‘তার পর তো মাইকের উপদ্রব রয়েছে। এমনই পর্যবেক্ষণ বিচারপতি ভরদ্বাজের।

এদিকে মামলাকারীদের অভিযোগ, হাতিবাগান সর্বজনীনের দুর্গাপুজো বহু পুরোনো। তার প্যান্ডেল এ বার এমন ভাবে বাঁধা শুরু হয়েছে, যার ফলে বন্ধ ক্ষুদিরাম বোস রোডের একটি আবাসনে যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ। মামলাকারীর বক্তব্য, গত বছরও প্যান্ডেল হয়েছে, তবে তাতে সাধারণ মানুষের যাতায়াত এই ভাবে বন্ধ হয়নি। এ বার যা অবস্থা, তাতে আপদে-বিপদ অ্যাম্বুল্যান্স পর্যন্ত ওই আবাসনে ঢুকতে পারবে না। আবাসনে বহু বৃদ্ধ রয়েছেন।

রাজ্যের তরফে হাইকোর্টে এদিন দাবি করা হয়, ১০ জন মামলাকারীর মধ্যে দু’জনের পরিবার ইতিমধ্যে পুজোর প্যান্ডেলের জন্য কনসেন্ট দিয়েছে। মামলাকারীদের বেশ কয়েক জন ওই আবাসনে থাকেন না, এটা ইগোর লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে। রাজ্যের আরও বক্তব্য, এই পুজোর জন্য গত বছর অরবিন্দ সরণি, গ্রে স্ট্রিটে প্রবল ভিড় হয়, যানবাহন চলাচলে সমস্যা হয় এবং সেজন্য এ বার প্রশাসনকে একটু অন্য ভাবে আয়োজনের ব্যাপারটা ভাবতে হয়েছে। মামলাকারীদের বক্তব্য, পুজোর উদ্যোক্তারা এখন আবাসনে এসে কনসেন্ট দিতে চাপ সৃষ্টি করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 7 =