বড় সমস্যায় শাহজাহান, ৩ বিজেপি কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় হাইকোর্টে মামলা দায়ের

আরও বড় সমস্যায় শাহজাহান শেখ। ২০১৯ সালে সন্দেশখালিতে যে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের ঘটনা ঘটে তাতে নাম জড়িয়েছিল শাহজাহানের। কিন্তু সেই ঘটনায় পুলিশের চার্জশিটে শাহজাহান শেখ-সহ বাকিদের অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। পরবর্তীতে সিআইডি যে মামলার তদন্ত করছিল, সেখানে চার্জশিটে নাম থাকলেও পরে শাহজাহান জামিন পেয়ে যান। এই দু’টি চার্জশিটকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ মৃত বিজেপি কর্মীদের পরিবার। ২০১৯ সালের ওই ঘটনায় সিবিআই ও এনআইএ তদন্তের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছেন পরিবারের লোকেরা।

শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে দ্রুত শাহজাহানকে পাকড়াও করার জন্য সচিব পর্যায়ে চাপ তৈরি হচ্ছে নবান্নের ওপর। অন্যদিকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাহজাহানের গতিবিধি জানার জন্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনটেলিজেন্স ব্যুরো বা আইবি-কেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাহজাহানকে খোঁজার।

উল্লেখ্য, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই সুর চড়িয়েছেন শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। বলেছেন, ‘এই জঙ্গি, জেহাদি, রাষ্ট্রবিরোধী শাহজাহান শেখ শুধুমাত্র রেশন কেলেঙ্কারিতেই অভিযুক্ত নয়, তিন তিনটে লোকের দেহ লোপাট করার পিছনেও হাত রয়েছে এই শাহজাহানের। দু’টি মামলা থেকে মমতার পুলিশের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে চার্জশিট মুক্ত হয়েছে। এই মামলা সিবিআই-এনআইকে-এর হাতে যাতে হস্তান্তর করা হয়, সেই আবেদন নিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যরা মামলা করলেন।’

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোট থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে নিজেদের ক্ষমতা বাড়াতে শুরু করেছিল বিজেপি। উল্কাগতিতে উঠে এসেছিল বঙ্গ বিজেপি। ৪২টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১৮টিতে জয় ছিনিয়ে এনেছিল। আর ঠিক সেই সময়েই সন্দেশখালিতে তিন বিজেপি কর্মীকে খুন করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই মামলায় মূল অভিযোগ ছিল এই শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। কিন্তু পুলিশ প্রথমে চার্জশিটে তাঁর নামই রাখেনি। পরে সিআইডি চার্জশিটে নাম রাখলেও, জামিন পেয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান শেখ। এবার পাঁচ বছরের পুরনো সেই অভিযোগ ঘিরে নতুন করে ফ্যাসাদে শাহজাহান।

অন্যদিকে, সিআরপিএফ-এর মাধ্যমে শনিবারে গোটা ঘটনার রিপোর্ট পৌঁছেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে। এর পাশাপাশি ইডি ও সিআরপিএফ যৌথভাবে রিপোর্ট দিয়েছে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে। রাজ্যপালের কাছ থেকে রিপোর্ট যাবে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে।সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে দ্রুত শাহজাহানকে পাকড়াও করার জন্য সচিব পর্যায়ে চাপ তৈরি হচ্ছে নবান্নের ওপর। অন্যদিকে সীমান্ত রক্ষী বাহিনী এবং তাদের গোয়েন্দা সংস্থাকে বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাহজাহানের গতিবিধি জানার জন্য। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ইনটেলিজেন্স ব্যুরো বা আইবি-কেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে শাহজাহানকে খোঁজার। সূত্রে এ খবরও মিলছে, নির্দিষ্ট খবর পেলে তবেই শাহজাহানের খোঁজে অভিযান চালাতে পারে ইডি। তবে প্রাথমিকভাবে নবান্নের ওপরেই চাপ দেওয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

19 − nine =