একটি বহুতল আবাসন থেকে উদ্ধার হল স্বামী ও স্ত্রীর মৃতদেহ। বিধাননগর পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত দম্পতির নাম সাগর মুখোপাধ্যায় ও রূপা মুখোপাধ্যায়। এদিকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়েকে ভর্তি বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরের নারায়ণপুর থানা থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ওই ব্যক্তি মানসিক অবসাদ থেকে প্রথমে ছুরি দিয়ে নিজের স্ত্রী ও মেয়েকে খুন করার চেষ্টা করেছেন।এরপর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, সাগরবাবু পেশায় ঔষধ ব্যবসায়ী। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ ঘটনার কথা জানাজানি হয় এলাকায়। এরপর থেকেই ছড়িয়ে পড়ে চাঞ্চল্য। এলাকাবাসী সূত্রে খবর, সাগরবাবু দোকানে একজন কর্মচারি শনিবার সকালে ফোন করেন তাঁকে। বারংবার ফোনে না পেয়ে পাশের বাড়ির একজনকে সাগরবাবুকে ডেকে দিতে বলেন। তখন সেই প্রতিবেশী দরজা ধাক্কা দিতেই তাঁর নজরে আসে গোটা বাড়ি ভরে গিয়েছে রক্তে। এরপরই খবর দেওয়া হয় নারায়ণপুর থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে রক্তাক্ত অবস্থায় তিনজনকেই উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মেয়ে রূপসা আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখানেই ভর্তি। তবে সাগর এবং তাঁর স্ত্রী রূপাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিকে সাগরবাবুর পড়শিদের থেকে যে খবর মিলেছে তাতে তাঁরা জানাচ্ছেন, ওষুধ ব্যবসায়ী সাগরবাবু ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন। দেনার দায়েই সম্ভবত আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বাসিন্দাও জানান, ‘ওরা সকলের সঙ্গেই মেলামেশা করতেন। ভালভাবেই, কথা বলতেন। হঠাৎ কী হল কে জানে।” পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেছেন, ‘একটা সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে। কিছু ফোন উদ্ধার হয়েছে। যে দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন সেটি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। মেয়ের চিকিৎসা চলছে। উনি সুস্থ হলে বাকিটা জানা যাবে।’