দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক ব্যবহার করে চলছিল জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রের ভুয়ো ওয়েবাসইট

ওয়েবসাইটে স্পষ্ট দেশের রাষ্ট্রীয় প্রতীক। ফলে আমজনতার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়, ওই ওয়েব সাইট আসল না ভুয়ো। আর এই  ফাঁদে পা দিয়ে বিপদেও পড়েছেন অনেকেই। আর এই ঘটনায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ জানান কলকাতার এক চিকিৎসক। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সমগ্র ঘটনা সামনে আসে বিধাননগর পুলিশের সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের।

বিধাননগর সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্টের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, প্রতীক জাল করে চালানো হচ্ছিল সেই ওয়েবসাইট। আর এর সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির নাম দীপু কুমার। তিনি আদতে বিহারের বাসিন্দা। এরপরই এই ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করে বিধাননগর পুলিশ।

বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে খবর, বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা দীপু কুমারকে মঙ্গলবার গ্রেফতারের পর তাঁকে বিধাননগর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন।

এরই পাশাপাসি বিধাননগর কমিশনারেটের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বেশ কয়েক বছর ধরে চলছিল এই জাল শংসাপত্রের কারবার। এরই মাঝে স্বাস্থ্য ভবনে কর্মরত চিকিৎসক অতনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসে বিষয়টি। তিনিই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বিধাননগর সাইবার শাখার পুলিশ সূত্রে খবর ২০২১ সালের ২০ জুলাই বিধান নগর সাইবার শাখায় নিউটাউনের বাসিন্দা ওই চিকিৎসক অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এ রাজ্যের জন্ম ও মৃত্যুর সংশাপত্র দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য ভবনের নিজস্ব পোর্টাল রয়েছে। কিন্তু একই রকম আরও একটি ওয়েবসাইট দেখে সন্দেহ বাড়ে। তদন্ত করতে নেমে পুলিশ দুটি জাল জন্ম শংসাপত্রের কথা জানতে পারে। এরপরই ওয়েবসাইটগুলি নজরে আসে। তদন্তে উঠে আসে দীপু কুমারের নাম। পুলিশের পক্ষ নোটিস পাঠানো হয় বছর ২০-র ওই যুবককে। অবশেষে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারণা, সরকারি নথি জাল, ভারতের রাষ্ট্রীয় প্রতীক নকল করার অভিযোগে মামলা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × four =