পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার গ্রিন হেড বিচে বিশাল তামার রঙের সিলিন্ডার, জল্পনা তুঙ্গে

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার গ্রিন হেড বিচে মিলল বিশাল তামার রঙের সিলিন্ডার। তা নজরে আসতেই তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। প্রশ্ন উঠেছে চন্দ্রযান-৩ বহনকারী রকেটের ধ্বংসাবশেষ ভেসে এসেছে সমুদ্র সৈকত কি না তানিয়ে। অস্ট্রেলিয়া প্রশাসনের দাবি, সৈকতে ভেসে আসা সিলিন্ডারের মতো বস্তুটি প্রায় আড়াই মিটার চওড়া ও তিন মিটার লম্বা। এই সিলিন্ডার সত্যিই কোনও স্পেস শিপের অংশ কিনা, তা জানতে নিজেদের দেশের মহাকাশ গবেষণা সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে অস্ট্রেলিয় পুলিশ। এদিকে সৈকতে পড়ে থাকা রহস্যময় বস্তুটিকে বিপজ্জনক বলে ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। অনেকের আবার দাবি, চন্দ্রযান ৩ বহনকারী এলভিএম-৩নয়, ওই সিলিন্ডার ইসরো-র পিএসএলভি-রকেটের অংশ। গত ২২ এপ্রিল পিএসএলভি রকেটের মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের দু’টি স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় ইসরো। ফলে সেই রকেটের ভগ্নাবশেষ মেলার সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া আরও একটি সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ন’বছর আগে রহস্যজনকভাবে হারিয়ে যায় মালেশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ-৩৭০ যাত্রীবাহী বিমান। বিশেষজ্ঞদের ধারনা, অস্ট্রেলিয়ার সৈকতের কাছেই ভেঙে পড়েছিল ওই উড়ান। সিলিন্ডারটি সেই বিমানের ভগ্নাবশেষ হতে পারে বলেও অনেকে অনুমান করছেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ১৪ জুলাই চন্দ্রযান ৩-র সফল উৎক্ষেপণ করে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে চন্দ্রযান-কে নিয়ে চাঁদের পথে পাড়ি দেয় লঞ্চ ভেহিকল মার্ক ৩ বা এলভিএম ৩। ১৫ সেকেণ্ডেরও কম সময়ে চন্দ্রযানকে পৃথিবীর কক্ষপথে পৌঁছে দেয় অতি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন এই রকেট।উল্লেখ্য, এই ধরনের রকেটগুলিতে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা তরল হাইড্রোজেন। বিশেষজ্ঞদের দাবি, সাধারণত পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলেই জ্বলে পুড়ে শেষ হয়ে যায় মহাকাশযানকে নিয়ে পাড়ি দেওয়া রকেট। কিন্তু তার পরও কখনও সখনও কিছু অংশ থেকে যায়। সেক্ষেত্রে রকেটের ভগ্নাবশেষ সমুদ্রে গিয়ে পড়া কোনও বড় বিষয় নয়। একে স্পেস ডেবরিজ বা মহাশূন্যের আবর্জনাও বলা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − 11 =