কলকাতা: টাটা পাওয়ার গ্রুপের কোম্পানি টাটা পাওয়ার ইভি চার্জিং সলিউশনস লিমিটেড অর্থাৎ টিপিইভিসিএসএল দেশজুড়ে ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারের প্রচারে তার দায়বদ্ধতা বজায় রাখতে এবার হাত মেলাল কলকাতা এয়ারপোর্ট অথরিটির সঙ্গে।আর এবার তাদের তরফ থেকে নয়া পদক্ষেপ হল বিমানবন্দরে ইভি চার্জিং পয়েন্ট বসানো।আর এই লক্ষ্যকে বাস্তাবায়িত করতেই চারটি ইভি চার্জারের (DC-CCS2 এবং সিঙ্গল গান GB/T চার্জার) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় মঙ্গলবার। এই চার্জারগুলি এ দেশে যত ইলেকট্রিক কার পাওয়া যায় সবই চার্জ করার উপযুক্ত। ২০২৩ এর ২৬ সেপ্টেম্বরের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতা এয়ারপোর্ট ডিরেক্টর সি পট্টভি; কলকাতার জয়েন্ট জিএম কমার্শিয়াল দীপক কুমার এবং টাটা পাওয়ারের হেড অফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট ফর EV চার্জিং বীরেন্দ্র গোয়েল। সঙ্গে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় রামকৃষ্ণ সিং-কেও। যিনি হেড বিজনেস অপারেশনস, EV চার্জিং, টাটা পাওয়ার-এর পদে রয়েছেন। এদিনের এই অনুষ্ঠান বিশেষ একটি মাত্রা পায় কারণ, এদিনের এই অনুষ্ঠানে এয়ারপোর্ট অথরিটিজ অফ ইন্ডিয়া এবং টাটা পাওয়ারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
এক বিস্তৃত EV চার্জিং নেটওয়ার্ক তৈরি করতে টাটা পাওয়ার এক উচ্চাকাঙ্ক্ষী প্রকল্প চালু করেছে যা দিয়ে পরিবেশবান্ধব পরিবহনের প্রতি এবং সার্বিক দেশজোড়া চার্জিং পরিকাঠামোর গড়ে তোলায় কোম্পানির দায়বদ্ধতা আরও দৃঢ় হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে টাটা পাওয়ারের হেড অফ বিজনেস ডেভেলপমেন্ট (EV চার্জিং) বীরেন্দ্র গোয়েল জানান ‘কলকাতা এয়ারপোর্টের সঙ্গে আমাদের যৌথ উদ্যোগ এই শহর এবং তার আশপাশের এলাকায় শক্তিশালী EV চার্জিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার কাজে আমাদের সামনের সারিতে জায়গা করে দিল। এটি সুস্থায়ী গতিশীলতার প্রতি আমরা অবিচল এবং একনিষ্ঠ তা ফের প্রমাণ করল। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হল কলকাতাবাসী তথা ভারতবাসীকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইলেকট্রিক যানবাহনকে আপন করে নেওয়ার শক্তি দেওয়া এবং এক্ষেত্রে এক মসৃণ ও নির্ঝঞ্ঝাট অভিজ্ঞতা প্রদান করা।’
এরই পাশাপাশি এদিন তাঁর বক্তব্য রাখতে গিয়ে কলকাতা এয়ারপোর্ট ডিরেক্টর সি পট্টভি টাটা পাওয়ারের উদ্যোগগুলির প্রশংসা করেন। সঙ্গে এও জানান, ‘এগুলি সুস্থায়ী গতি পাওয়ার দিকে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এরফলে পাবলিক পার্কিং এরিয়ায় EV চার্জিং পরিকাঠামো প্রতিষ্ঠা কেবল ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারকারীদের সুবিধাই বাড়াবে না, পরিবেশ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও এক নতুন দিক উন্মোচিত করে।’ এরই পাশাপাশি তিনি এও জানান, তাঁরা টাটা পাওয়ারের সঙ্গে জুটি বাঁধতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত, কারণ তাদের দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য, কলকাতাকে এক পরিচ্ছন্নতর এবং পরিবেশ সম্পর্কে আরও সচেতন শহরে রূপান্তরিত করার। একইভাবে এক সুস্থায়ী ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাও যাবে এবং ভারতের EV বিপ্লবে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা যে এই রাজ্যের আছে তাও সবার সামনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব হবে।’
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, টাটা পাওয়ার ও কলকাতা এয়ারপোর্ট অথরিটির যৌথ উদ্যোগ সুস্থায়ী জীবনযাত্রা গড়ে তোলার প্রগতিতে এক উল্লেখযোগ্য ঘটনা। কারণ এটি কেবল ব্যাপক হারে ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহার করার প্রচারই করে না, কলকাতাকে আরও পরিচ্ছন্ন এবং আরও পরিবেশবান্ধব শহরে রূপান্তরিত করার যে দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য টাটা পাওয়ার নিয়েছে তার সঙ্গেও এটি সঙ্গতিপূর্ণও বটে। সেক্ষেত্রে এই জুটি ভারতের ইলেকট্রিক যানবাহন বিপ্লব এগিয়ে আনার যে সার্বিক লক্ষ্য তাতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখল এটা বলাই যায়।