শেষ মুহূর্তে স্বপ্নদীপকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন এক কাশ্মীরী ছাত্র

স্বপ্নদীপের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট আরও দানা বেঁধেছে একের পর এক তথ্য সামনে আসতেই। মৃত্যুর আগের রাতে বাবা-মাকে নদিয়ার বাড়িতে ফোন করে ভয় পাচ্ছেন জানিয়েছিলেন স্বপ্নদীপ। এদিকে হস্টেলের অন্যান্য ছাত্ররা জানাচ্ছেন, বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ভারী কিছু পড়ার শব্দ পান হস্টেলের অন্য ছাত্ররা। তাঁরা ঘর থেকে বেরিয়ে দেখেন, নীচে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন স্বপ্নদীপ। হস্টেল সূত্রে খবর, মৃত্যুর আগে অস্বাভাবিক আচরণ করছিলেন স্বপ্নদীপ।

এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, হস্টেলের তিন তলা থেকে পড়ে যাওয়ার সময় স্বপ্নদীপের হাত ধরে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন হস্টেলেরই এক কাশ্মীরি পড়ুয়া। তিনি সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। স্বপ্নদীপ মেন হস্টেলের এ-২ ব্লকের যে ঘরে থাকছিলেন, তার উপরের তলাতেই থাকেন কাশ্মীরী এই ছাত্র। বুধবার রাতে নীচের তলা থেকে কথাবার্তা শুনে তিনি নেমে আসেন। স্বপ্নদীপকে পড়ে যেতে দেখে তিনি বাঁচানোরও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁর হাত ফস্কে নীচে পড়ে যান স্বপ্নদীপ। এদিকে স্বপ্নদীপের মামা অরূপ কুণ্ডুর বক্তব্য, স্বপ্নদীপ মাকে জানিয়েছিলেন, তিনি ভাল নেই। শীঘ্রই যাদবপুরে এসে তাঁকে যেন নিয়ে যাওয়া হয়। মায়ের কাছে সেই আর্জিও জানিয়েছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

13 − one =