বিশ্বে হার্ট অ্যাটাকের আক্রান্তে মানুষের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে, সেখানে বিশ্ব হার্ট দিবস কেবল একটি দিনই বা অনুষ্ঠান নয়, এইদিনকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে সচেতনতার বার্তা ছড়িয়া পড়া অত্যন্ত জরুরিও বটে। আর সেই কারণে এই বছর, আর এন টেগোর হাসপাতালের তরফ থেকে আপনার জন্য দেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু পরামর্শ, যা ঐতিহ্যগত চিকিৎসা ব্যবস্থার ব্যতিক্রমী।
আর সেই কারণেই ওয়ার্ল্ড হার্ট -ডে তে দুইজন বিশিষ্ট ডাক্তার আশার আলোকবর্তিকা হিসাবে দাঁড়িয়েছেন।যেখানে তাঁরা হার্ট অ্যাটাকের উদ্বেগজনক বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রতিকারও জানাচ্ছেন।
নারায়ণা হেলথ আর এন টেগোর হাসপাতালের ডাঃ দেবদত্ত মজুমদার, কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট জানাচ্ছেন, ‘হার্ট অ্যাটাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুধু হাসপাতালগুলিতেই হয় না, প্রতিদিন যার শুরু হয় বাড়িতে, কর্মক্ষেত্রে এবং নিজের পছন্দের বিষয়গুলিতেও। হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধ করতে হলে শরীরের ক্ষমতায়ন বৃদ্ধি করা অত্যন্ত প্রয়োজন। দৈনন্দিন জীবনে ছোটখাটো পরিবর্তন, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন শারীরিক ও মানসিক অনুশীলন সেখানে অসাধারণ ফলাফল আনতে পারে।”
নারায়ণা হেলথ আর এন টেগোর হাসপাতালের অপর এক কনসালটেন্ট কার্ডিওলজিস্ট ডাঃ দেবব্রত বেরা জানান, “যদিও প্রতিরোধই সর্বাগ্রে সেখানে আমরা আধুনিক ওষুধের বিস্ময়কে ভুলে যাওয়ার কথা নয়। আমাদের কাছে প্রতিকার রয়েছে, অত্যাধুনিক চিকিৎসা থেকে লাইফস্টাইলেপরিবর্তন যা হৃদরোগের সমস্যা থেকে মুক্তির পথ দেখাতে পারে। প্রতিটি হৃদস্পন্দন আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে রক্ষা করার একটি সুযোগ।”
হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে কতগুলি পদক্ষেপ করা অত্ন্ত জরুরি।
- হার্ট-স্বাস্থ্যকর জীবনধারা উন্নত করুন: প্রতিদিনের ব্যায়াম করুন, ফল ও শাকসবজি সমৃদ্ধ একটি সুষম খাদ্য গ্রহণ এবং হৃদয় ও মনকে প্রশান্ত রাখা অত্যন্ত জরুরি।
- ধূমপান ত্যাগ: ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন। এতে ফুসফুস ভাল থাকবে এবং শুদ্ধ বাতাস হার্টের জন্য উপকারী।
- সজাগ পর্যবেক্ষণ: নিয়মিতভাবে রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং রক্তে শর্করার মূল্যায়ন করুন। কারণ, এই লুকিয়ে থাকা ছোট ছোট কারণ পরে বড় হয়ে দাঁড়াতে পারে। হার্ট অ্যাটাকের সঙ্গে লড়াই করতে এই দিক গুলোর ওপর নজর দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- পুষ্টি- হার্টকে শক্তিশালী করতে শস্যজাতীয় খাবার, চর্বিহীন প্রোটিন খাদ্যদ্রব্য গ্রহণ করা দরকার।
- স্ট্রেস-রিলিফ কৌশলগুলি ব্যবহার করুন: স্ট্রেসের থেকে বাঁচতে ধ্যান এবং যোগব্যায়াম করুন।
- ওষুধের আনুগত্য: যাঁদের হার্টসংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা চলছে তাদের চিকিৎসার সাথে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- নিজেকে পুনরুজ্জীবিত করুন- হৃদরোগকে ঠেকাতে ঘুমকে অগ্রাধিকার দেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
- সচেতনতা বৃদ্ধি: সম্প্রদায়ের মধ্যে হৃদরোগ সংক্রান্ত কথোপকথন হওয়া জরুরি যার মধ্য দিয়ে একটা সম্মিলিত প্রচেষ্টাও থাকবে।
- কার্ডিওভাসকুলার ভ্যানগার্ডের সাথে পরামর্শ করুন: হার্টের অবস্থা জানতে বিশেষজ্ঞের পরার্শ নেওয়াও জরুরি।