বেহালার বড়িশা হাইস্কুলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনা ঘিরে তোলপাড় পুলিশ প্রশাসন থেকে পুর প্রশাসন। কারণ, স্থানীয়রা বারবার অভিযোগ তুলেছেন, এলাকায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে। একইসঙ্গে উঠে এসেছে ফুটপাথ জুড়ে হকার-রাজের ঘটনাও। হকারদের উৎপাতে রাস্তার দখলদারি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে, মানুষের হাঁটার জায়গা পর্যন্ত নেই। এবার এই ফুটপাথ দখল রুখতে কিছুটা তৎপরতা বাড়াল কলকাতা পুরসংস্থার। শনিবার ফুটপাথ দখল নিয়ে নজরদারি চালাতে মনিটরিং সেল গঠন করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি জানান, ফুটপাথে আর বসতে পারবেন না হকাররা।
ঠাকুরপুকুর থেকে তারাতলা পর্যন্ত ফুটপাথের সিংহভাগ কার্যত হকারদের দখলে। ব্যস্ততার মধ্যে একপ্রকার বাধ্য হয়ে পথচারীদের রাস্তার ধার ঘেঁষে চলাচল করতে হয়। ফিরহাদ হাকিম বলেন, বেহালার ফুটপাথ দখল করে সঙ্কীর্ণ করার অভিযোগও উঠেছে হকারদের বিরুদ্ধে। সেটা নিয়ে বার বার সচেতন করা হলেও কানে তোলা হচ্ছে না। কলকাতার মেয়র জানান, কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে কথা বলবেন। এরপরই তৈরি করা হবে মনিটরিং সেল। মেয়র জানান যে নিউ মার্কেট, তালতলা থানাকে এই বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বেআইনি হকারদের উপরে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্যই তৈরি করা হচ্ছে বিশেষ মনিটরিং সেল। কলকাতা পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের সঙ্গে বৈঠকের পরই গঠিত হবে এই যৌথ মনিটরিং সেল।
শুক্রবার ভোরে বাবার সঙ্গে স্কুলে আসছিল সৌরনীল সরকার। বড়িশা হাইস্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ছিল সে। স্কুলে ঢোকার আগে ডায়মন্ড হারবার রোডে একটি লরি তাকে পিষে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সৌরনীলের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে চৌরাস্তা এলাকা। বিশাল পুলিশবাহিনী এসে পৌঁছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয়। এই ঘটনার পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও রয়েছে।