বিমান বন্দরের মাধ্যমে বিদেশ থেকে এ দেশে অবৈধভাবে সোনা পাচারের চেষ্টা চলতে থাকেই। শুল্ক দফতরের তৎপরতায় প্রায়শই এ ধরনের সোনা পাচারের চেষ্টা ব্যর্থও হয়। এদিকে শুল্ক দফতরের আধিকারিকদের চোখ এড়িয়ে সোনা পাচার করতে প্রতিদিনই নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছেন পাচারকারীরা। এমনই এক ঘটনা নজরে আসে রবিবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা জানান, রাসায়নিক মিশ্রণ ব্যবহার করে সোনাকে তরল করে কাপড়ের মধ্যে লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা চলছিল। এ ভাবে সোনা পাচারের অভিযোগে রবিবার এক মহিলাকে আটক করেন শুল্ক দফতরের আধিকারিকরা। এই প্রসঙ্গে তাঁরা এও জানান, আবুধাবি থেকে কলকাতাগামী এতিহাদ এয়ারলাইন্সের বিমান ইওয়াই ২৫৮ রাত আড়াইটা নাগাদ অবতরণ করে। সেখান থেকে নামেন এক ভারতীয় মহিলা যাত্রী। ওই মহিলার থেকেই উদ্ধার হয় তরল সোনা। তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে গিয়ে শুল্ক দফতরের এয়ার ইন্টেলিজেন্স শাখার আধিকারিকরা জানতে পারেন রাসায়নিক মিশ্রণ ব্যবহার করে সোনাকে তরলে পরিণত করে কাপড়ে লাগিয়ে নিয়ে আসা হয়েছিল। কাপড় থেকে সেই তরল সোনা একত্রিত করতে সময় লাগছে। তাই ঠিক কতটা পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও জানানো হয়নি।
এই ঘটনা থেকে এটাও স্পষ্ট যে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বদল হয়ে যাচ্ছে পাচারের কৌশল। পাচারকারীরা পুলিশ, কাস্টমস নিরাপত্তা বাহিনীকে বোকা বানাতে অভিনব পদ্ধতি ব্যবহার করছে। তবে সোনা পাচারের এই নতুন কৌশলে হতবাক শুল্ক দফতরের আধিকারিকেরা।