বেঙ্গালুরুতে অবিজেপি জোটের মেগা বৈঠক একমঞ্চে দেখা গেল তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সিপিএমের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে। আর এই ছবি সামনে আসতেই ক্ষুব্ধ বাম শিবিরের তৃণমূল স্তরের কর্মী সমর্থকেরা। আসলে যে থিয়োরিতে চলছে বাম, ‘রাজ্যে কুস্তি,কেন্দ্রে দোস্তি’তাতে মোটেই সায় নেই বাম কর্মী সমর্থকদের। কারণ, একমাসও শেষ হয়নি বঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সামনে এসেছে হিংসার নানা ঘটনা। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী সিপিআইএম কর্মী মনসুর আলমের পরিবার। গত ১৫ জুন পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়া ব্লকের কাঁঠালবাড়ি গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুলি বিদ্ধ হন এই সিপিআইএম কর্মী। এর এক সপ্তাহ পরে ২২ জুন মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনার এক মাস পার হতে না হতেই এভাবে দলের হাইকম্যান্ডকে রাজ্যের রাজনৈতিক শত্রুর সঙ্গে এক মঞ্চে দেখে ক্ষুব্ধ ব্যথিত ওই সিপিআইএম প্রার্থীর পরিবার। তাঁরা বোঝে না জাতীয় রাজনীতি। যাদের হাতে ঘরের ছেলের মৃত্যু হয়েছে তাদের সঙ্গে দহরম-মহরম ঘনিষ্ঠতা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারছে না ওই পরিবার।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এই বিরোধী বৈঠক নিয়ে নিজের বক্তব্যে তুলে ধরেছিলেন,’পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের হামলায় সিপিএম এবং কংগ্রেসের কর্মীরা মারা যাচ্ছেন। আজ সেই তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রীর সঙ্গে সিপিআইএম এবং কংগ্রেসের নেতারা বৈঠক করছেন।’মোদির এই বক্তব্যকে সমর্থন করতে দেখা যায় নিহত সিপিআইএম মনসুরের দাদু মহম্মদ গিয়াসুদ্দিনকে।একইসঙ্গে তিনি এও জানান, শাসক দলের নেতারা এই ঘটনায় যুক্ত থাকায় পুলিশ ঘটনার তদন্তে অনীহা দেখাচ্ছেন বলে অভিযোগ মৃত নেতার পরিবারের। সব মিলিয়ে হত্যার ঘটনায় বিচার থেকে বঞ্চিত মনসুরের পরিবার।