‘রাজ্যে চরম নৈরাজ্যের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করছেন দখলদারি মুক্ত করতে হবে। যে ভাবে রাজ্যের মন্ত্রী সরকারি মহিলা আধিকারিককে আক্রমণ করলেন সেটা লজ্জার। শাসক দলের আস্থা নেই পুলিশের উপর। পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছে। বর্তমান নেতাদের হয়ে পুলিশ যে কাজ করে সেটা লজ্জার ভয়ের তবে পুলিশ আক্রান্ত হচ্ছে সেটা ঠিক নয়’, অখিল গিরির মন্তব্য প্রসঙ্গে এমনটাই বললেন রাজ্যসভার সাংসদ তথা বঙ্গ বিজেপির প্রধান মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
প্রশাসনিক বিশৃক্ষলার পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকায় জলমগ্ন পরিস্থিতি নিয়েও সোচ্চার হলেন বিজেপি সাংসদ। সঙ্গে এও প্রশ্ন তোলেন, ‘খোলা তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হচ্ছে সাধারণ মানুষের। প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু সেই বিপর্যয়কে রোখার জন্য বারো বছর কি খুব কম? বাঁধ যেভাবে তৈরি হচ্ছে একটা বর্ষা কাটছে না বার বার বিপর্যয় নামছে।’
এদিকে জিএসটি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারি প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘রাজ্য বলছে আন্দোলনে নামব। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করেই জিএসটি তৈরি হয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে। এর সঙ্গে কেন্দ্রের কোনও সম্পর্ক নেই । নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢেকে রাখার জন্য এই বঞ্চনার কথা বলছে রাজ্য। জল জীবন মিশন থেকে রাজ্যে সড়ক তৈরিতে কেন্দ্র একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, কেন্দ্র বিনিয়োগ করেছে এই রাজ্যে। আবাস যোজনা নিয়ে চূড়ান্ত দুর্নীতিও হয়েছে এই রাজ্যেই। চারটি জাতীয় সড়ক তৈরিতে বরাদ্দ হয়েছিল কেন্দ্রের তরফে। নীতিন গড়কড়িকে এবিষয়ে প্রশ্ন করলে আমাকে জানানো হয়। এবিষয়ে রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়নি কিছু । একের পর এক প্রজেক্ট ফেলে রেখে দিয়েছে রাজ্য। কেন্দ্রের কোনও প্রকল্প বাস্তবায়িত হতে দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। রাজ্যের নির্বাচিত প্রতিনিধি যারা সংসদে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করছে তাঁরা কেউ উত্তর দিতে পারছে না যে এরাজ্যে আলু চাষি বা কৃষকদের কেন এই অবস্থা।’