মনোজিতের দেখানো পথে  সোনারপুর দক্ষিণের শাসকদলেরই এক ছাত্রনেতা

কলেজে নবাগত ছাত্রীকে দিয়ে মাথা টেপাচ্ছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা ৷ সোশাল মিডিয়ায় ঘোরাফেরা করছে এমনই এক ভিডিয়ো, যা নিয়ে ফের অস্বস্তিতে শাসকদল৷ আর এই ভিডিওকে সামনে রেখে সরব বিরোধী শিবিরও।

এদিকে সূত্রে খবর,  ভিডিয়োতে যে ছাত্রনেতাকে দেখা যাচ্ছে তাঁর নাম প্রতীককুমার দে৷ তিনি সোনারপুর মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের কোঅর্ডিনেটর তিনি সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক লাভলি মৈত্রেরঘনিষ্ঠবলেও পরিচিত কারণ প্রতীককে কোঅর্ডিনেটর পদে স্বয়ং লাভলি মৈত্রই নিযুক্ত করেন বলে সূত্রের খবরআর যে ঘটনায় তোলপাড় বঙ্গ রাজনীতি সেটি তা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার এই সোনারপুর মহাবিদ্যালয়েই ৷

আর এই প্রতীকের মাথা টেপানোর ভিডিয়ো সামনে আসার পর প্রশ্ন উঠছে, বারুইপুর কলেজের প্রাক্তন ছাত্র হয়েও কীভাবে প্রতীক সোনারপুর কলেজে এতখানি প্রভাব খাটান তা নিয়েও। এই প্রসঙ্গে বিরোধী শিবিরের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই সব ঘটছে লাভলি মৈত্রেরআশীর্বাদে৷ এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা সুনীপ দাস বলেন, ‘কিছুদিন ধরেই রাজ্যের কলেজে টিএমসিপি নেতাদের দাপাদাপি দেখছি ৷ তারই প্রতিফলন সোনারপুর কলেজে দেখলাম ৷ ওখানকার এই ছাত্রনেতা প্রতীক দে খুবই প্রভাবশালী ৷ তিনি প্রথম বর্ষের ছাত্রীকে দিয়ে মাথা টেপাচ্ছেন, এরকম নোংরামো তৃণমূল ছাড়া কেউ পারে না ৷এরপাশাপাশি

তিনি এও জানান, ‘এদের পিছনে রথী মহরথীদের হাত আছে ৷ প্রতীকদের পিছনে হাত রয়েছে বিধায়ক লাভলি মৈত্রের ৷ তা নাহলে প্রতীদ দে একদিকে সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি ৷ সঙ্গে সোনারপুর টাউন যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ৷ এরা এতটাই প্রভাবশালী যে, তাঁর দলেরই কাউন্সিলর প্রতীকের বিরুদ্ধে লাঞ্ছনা করার অভিযোগ করেছিলেন তখনও প্রতীকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি তৃণমূল পুলিশের উচিত প্রতীকের মতো নেতাদের পিটিয়ে থানায় ঢোকানো ৷ যাতে মহিলারা সুরক্ষিত থাকে এবং বাড়ির মেয়েরা শান্তিতে কলেজে যেতে পারেন ৷

এদিকে এই ঘটনাকে ঘিরে ফের প্রশ্ন উঠছে, কলেজ কিছাত্র রাজনীতির আড়ালেব্যক্তিগত ক্ষমতা প্রদর্শনের মঞ্চ হয়ে উঠছে ? দলীয় নেতৃত্ব কবে মুখ খুলবে, সেদিকেই তাকিয়ে ছাত্রমহল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − twelve =