আগুন বারাসতের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পীরগাছা এলাকায় নিমেষে ভস্মীভূত আস্ত রঙের কারখানা ও গোডাউন সংলগ্ন এলাকা। শনিবার সন্ধে নাগাগ এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। রংয়ের কারখানা হওয়া তা ছিল দাহ্য পদার্থে ঠাসা ফলে কয়েক মিনিটের মধ্যে সেই আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে কারখানার বিস্তীর্ণ এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎক্ষণাৎ
ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের ছয়টি ইঞ্জিন। রাত অবধি পাওয়া আপডেট অনুসারে আগুন নেভাতে হিমসিম খাচ্ছে দমকল বাহিনী। সঙ্গে এ খবরও মিলেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আরও কয়েকটি ইঞ্জিন পৌঁছায় ঘটনাস্থলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত আগুন সামাল দিতে আসে দমকলের মোট ১৮টি ইঞ্জিন। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ডিজি দমকল। তিনি জানিয়েছেন, পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর, আগুন নেভাতে আরও বাহিনীর প্রয়োজন হতে পারে। যে এলাকায় আগুন লেগেছে, সেখানে রঙের কারখানা ছাড়াও আরও কয়েকটি ভিন্ন পণ্যের গোডাউন রয়েছে বলে খবর। রয়েছে একটি এসির গোডাউনও।
ল্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, ‘এত বড় আগুন লেগে যাবে কেউ বুঝতে পারেনি। এখানে এসি, রঙ অনেক কিছুর গোডাউন ছিল। কিন্তু সেই ভাবে দমকল পাঠানো হয়নি।’ তবে খিদিরপুরের মতো বারাসতের এই কারখানায় আগুনের ঘটনাতেও স্থানীয়দের ক্ষোভ দমকলের দিকে। স্থানীয় বাসিন্দারা এও
জানান, ‘একে দমকল দেরি করে আসে। তার মধ্য়ে প্রথমে একটা ইঞ্জিন পাঠিয়েছিল। তাতেই আগুন বেড়ে যায়।’
তবে ঠিক কীভাবে আগুন লাগে, সেই নিয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ব্যাপক অগ্নিকাণ্ডে টাকি রোডে ব্যাহত হয় যান চলাচল। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছে গিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এদিন তিনি বলেন, ‘দমকল মন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। মানুষকে ধৈর্য্য ধরতে হবে। ইতিমধ্যেই ভিড় সরিয়ে বাহিনীর গাড়ি ঢোকানোর ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এরকম ভয়বহতা, তাতে সময় তো লাগবেই।’