গাজিয়াবাদের দীপক বিহারে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় উদ্ধার হল এক তরুণীর দেহ। এরপর ওই তরুণীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। কেন হঠাৎ এই তরুণী আত্মহননের রাস্তা বেছে নিলেন তা নিয়ে তদন্তে নামে পুলিশ। তদন্ত নেমে সামনে আসে ভয়ঙ্কর সত্যটাই।তাঁর মৃত্যুর জন্য প্রেমিককে দায়ী করেছেন এই তরুণী। একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে সব কথাও বলে গিয়েছেন তিনি।
গাজিয়াবাদ পুলিশ সূত্রে খবর,
গাজিয়াবাদের দীপক বিহার এলাকার ঘটনা। প্রেমিকের ব্ল্যাকমেইলিং আর সহ্য করতে না পেরে তরুণী আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ পরিবারের। যে ভিডিয়ো পাওয়া গিয়েছে, তার ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপাতত জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
সঙ্গে এও জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটে গত রবিবার রাতে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর করা ভিডিয়ো অনুযায়ী, অভিযুক্ত যে শুধু তাঁকে হুমকি দিচ্ছিল বা ব্ল্যাকমেল করছিল, তাই নয়, তাঁর ১৪ বছরের নাবালিকা বোনকেও যৌন নির্যাতনের হুমকি দিচ্ছিল। ভিডিয়োতে দাবি করা হয়েছে, নাবালিকা বোনকে তাঁর কাছে পাঠানোর জন্য চাপ দিতেন তাঁর প্রেমিক। দিনের পর দিন এভাবে হুমকির চাপে তরুণী আত্মহত্যা করেছেন বলে অনুমান পুলিশের। এর পাশাপাশি গাজিয়াবাদ পুলিশের তরফ থেকে এও জানানো হয়, প্রায় এক বছর আগে তরুণী এবং অভিযুক্ত নয়ডায় একটি কোম্পানিতে একসঙ্গে কাজ করতেন। সেখানেই তাঁদের দু’জনের পরিচয় হয়। এরপর অভিযুক্ত বিয়ের অজুহাতে হেনস্থা এবং ব্ল্যাকমেল করতে থাকেন। এসিপি স্বাধীন কুমার সিং জানিয়েছেন, পুলিশ যখন মৃত তরুণীর মোবাইলটি আনলক করে, তখন একটি ভিডিয়ো পাওয়া যায়। সেখানেই তরুণী অভিযুক্তের নাম নিয়েছে। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে, আইনানুগ ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
এর পাশাপাশি তরুণীর বাবা পুলিশকে জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে অভিযুক্ত যুবক তাঁর মেয়েকে মানসিকভাবে নির্যাতন করছিল। অভিযুক্তরা প্রথমে বিয়ের অজুহাতে তরুণীকে হেনস্থা করে, তারপর ব্ল্যাকমেল করতে থাকে। প্রতিবাদ করলে অভিযুক্ত তাঁর নাবালিকা বোনকে নিয়ে অশ্লীল সব ব্যাপার দাবি করতে থাকে।