এন্টালিতে ভেঙে পড়ল একটি পরিত্যক্ত বাড়ি। মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। মৃতদের নাম সাজিদুর রহমান ও মুজিবুর রহমান। তাঁরা সম্পর্কে দুই ভাই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিকে সূত্রে খবর, ২৩ নম্বর কনভেন্ট রোডে পরিত্যক্ত এই বাড়ির মধ্যেই ছিল একটি কারখানা। যা প্রায় ৪০ বছর ধরে বন্ধ। স্থানীয় সূত্রে খবর, একটি সংস্থা পরিত্যক্ত কারখানাটি কিনেছে। এদিন রাতে কারখানার ভিতরে জোরে শব্দ শুনতে পান পরিত্যক্ত কারখানার কেয়ার টেকার সাজিদুর। কী হয়েছে, দেখার জন্য ভিতরে যান তিনি। সেইসময়ই হুড়মুড়িয়ে কারখানার একাংশ ভেঙে পড়ে। তখন ভিতরে দৌড়ে যান মুজিবুর। তাঁর উপর পরিত্যক্ত কারখানার ছাদের অংশ ভেঙে পড়ে। দু’জনে চাপা পড়েন। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ–প্রশাসন পৌঁছতে পৌঁছতে পেরিয়ে যায় বেশ কিছুটা সময়।দুর্ঘটনার পরই ২জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার রাতে হঠাত্–ই আওয়াজ পেয়ে এন্টালির পরিত্যক্ত কারখানায় চোর ধরতে গিয়েছিলেন কেয়ারটেকার ও তাঁর ভাই।কারণ, এই আওয়াজ শুনে শেরিজুল ভেবেছিলেন, রাতের অন্ধকারে চোর ঢুকেছে। চোর ধরতে কোয়ার্টার থেকে বের হন তিনি। মুজিবর তাঁর সঙ্গে যান। পরিকল্পনা ছিল, ঝামেলা মিটিয়ে বাড়ি ফিরবেন। কিন্তু কিছু বোঝার আগেই সব শেষ।
প্রসঙ্গত, এন্টালি থানার ২৩ নম্বর কনভেন্ট রোডের অ্যাসিড কারখানার দেখভালের দায়িত্বে ছিলেন শেরিজুল শেখ। কারখানার কোয়ার্টারে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। ভাই মুজিবর ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা থাকতেন তিলজলায়। রবিবার সন্ধেয় বউদি ও ভাইপো–ভাইজিকে আনতে দাদার কোয়ার্টারে গিয়েছিলেন মুজিবর। এদিনের ঘটনার পর মৃত শেরিজুল শেখের স্ত্রী জানান, ‘আমি গতকালই এখানে এসেছি। দুর্ঘটনার পর চিৎকার করে সবাইকে ডাকি।’
দুর্ঘটনার খবর পেয়েই এন্টালি পৌঁছন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।তিনি জানান, এই বিল্ডিংটি অনেক বছর ধরেই বন্ধ রয়েছে। সোমবার সকাল থেকে বিল্ডিংটি ভাঙার কাজ শুরু হবে বলে তিনি জানান।