হাইকোর্টে স্বস্তিতে অভিজিৎ, ১২ জুন পর্য়ন্ত কোনও পদক্ষেপ নয় জানাল হাইকোর্ট

কলকাতা হাইকোর্টে স্বস্তি প্রাক্তন বিচারপতি তথা তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের তরফ থেকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আপাতত কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। ১২ জুন পর্যন্ত এই নির্দেশ বজায় থাকবে বলেও জানান বিচারপতি। একইসঙ্গে এও জানানো হয়েছে, আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং অন্য মামলাকারীর তদন্তের জন্য ডাকা যাবে না। এই প্রসঙ্গে সামনে আসে শীর্ষ আদালতে চলা অরবিন্দ কেজিওয়ালের মামলার কথা। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট যে অবস্থান নিয়েছে তা অনুসরণ করে কোর্টের বক্তব্য, নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি চলাকালীন কোনও প্রার্থীকে কোনওভাবে বিরক্ত করা যাবে না। আদালত মনে করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের মামলায় সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে জামিন দেওয়ার ক্ষেত্রে যে যুক্তি দিয়েছে, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেহেতু এইখানে প্রার্থী তাই তাঁর ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য।

এদিকে তমলুকের সিজেএম-এর বক্তব্য অনুযায়ী, যে সমস্ত অভিযোগ তুলে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে, পুলিশের আগে সেই সব অভিযোগের সত্যতা খুঁজে দেখা উচিত ছিল। হাইকোর্টও এই বিষয়টিও উল্লেখ করে রায়ে। দু’পক্ষকে নিজেদের বক্তব্য জানিয়ে হলফনামা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। ১২ জুন এই মামলাটির পরবর্তী শুনানি।

প্রসঙ্গত, গত ৪ মে তমলুকে শোভাযাত্রা করে মনোনয়ন জমা দিতে যান অভিজিৎ। এই দিন মিছিলে ছিলেন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। কিন্তু, শোভাযাত্রাটি হাসপাতাল মোড়ে পৌঁছনোর পর অশান্তি শুরু হয়। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের শিক্ষক সংগঠনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের রায়ে তৎকালীন চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী পাশে দাঁড়িয়ে চালানো হচ্ছিল অনশন কর্মসূচি। তৃণমূলপন্থী শিক্ষকদের বিক্ষোভ সমাবেশে আক্রমণের অভিযোগ করা হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশাল পুলিশবাহিনী ও র‍্যাফ নামে। তৃণমূলের প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি মইদুল ইসলাম এই ঘটনার প্রেক্ষিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সহ আরও অনেকের বিরুদ্ধে দায়ের হয় অভিযোগ। এরপর এই এফআইআর-কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রাক্তন এই বিচারপতি। প্রথমে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই মামলা দায়ের হয়। কিন্তু, এই বিচারপতি মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। মঙ্গলবার ব্যক্তিগত কারণে তিনি এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান। এরপর তা যায় বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

three × three =