২০২১-এ বিরোধীদের খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়ে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল যে বিপুল সাফল্য পেয়েছিল তার কৃতিত্বের অনেকটাই দেওয়া ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরকে। এদিকে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা জয়ের লক্ষ্যে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি। অন্যদিকে আবার জোট বেঁধেছিল বাম-কংগ্রেস। যদিও বিরোধীদের যাবতীয় চেষ্টা বিফল করে দিয়ে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য রাজ্যে ক্ষমতা দখল করে তৃণমূল কংগ্রেস। আর তৃণমূলের নির্বাচনী রণকৌশল থেকে শুরু করে ইস্তেহার, প্রার্থী বাছাই- সবকিছুতেই প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর সংস্থা আইপ্যাকের বড় অবদান ছিল বলে সেই সময় শাসক দলের তরফেই জানানো হয়েছিল। আর এই সময় থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে ওতোপ্রতো ভাবে জড়িয়ে যায় পিকে বা প্রশান্ত কিশোরের নাম।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সেই প্রশান্ত কিশোরের মূল্যায়ন করতে গিয়েই অভিষেক দাবি করলেন, দেশ অন্যতম নামজাদা এই ভোট কুশলীকে নিয়ে যে ধরনের প্রচার হয় তা তাঁর যোগ্যতার তুলনায় বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে। যা অভিষেকের ভাষায় ‘ওভারহাইপড’। যদিও কেন প্রশান্ত কিশোরকে নিয়ে এমন এক মন্তব্য করলেন তাঁর ব্যাখ্যা দেননি অভিষেক।
প্রশান্ত কিশোর অবশ্য ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরই তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেন। নির্বাচনের ফল বেরনোর আগেই প্রশান্ত কিশোর জোরগলায় দাবি করেছিলেন, বাংলায় বিজেপি একশো আসনে পৌঁছতে পারবে না। বাস্তবে হয়েছিলও তাই। তবে শুধু প্রশান্ত কিশোর নন, নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, সবাইকে নিয়েই নিজের মতামত দিতে দেখা যায় অভিষেককে। নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে এক কথায় বলতে গিয়ে বিচক্ষণ শব্দটি ব্যবহার করেন অভিষেক। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চোখে ‘আপোসহীন লড়াইয়ের নেত্রী’৷ দিলীপ ঘোষকে ভাল সংগঠক, সুকান্ত মজুমদারকে অপরিণত বলে আখ্যা দেন অভিষেক। শুভেন্দু অধিকারী সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, ‘অমার্জিত ভাষা সন্ত্রাস’৷ রাহুল গান্ধি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে অভিষেকের জবাব, ‘অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে।’