কেন্দ্রীয় সরকার গঠিত সর্বদলীয় প্রতিনিধি দলের একজন সদস্য হয়ে বিদেশের মাটিতে পা রেখেছিলেন তৃণমূল সাংসদ তথা তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়। সেখানে আলোচনায় পাকিস্তানের আসল রূপ কী সে ব্যাপারে মুখ খুলতেও দেখা গেছে তাঁকে। একাধিক দেশে তিনি তাঁর বক্তব্যে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের কী অবস্থান,তা তুলে ধরেন। এর পাশাপাশি তিনি এও বার্তা দেন, ভারত এই জঙ্গি কার্যকলাপের বিরদ্ধে মাথানত করবে না। প্রসঙ্গত, অভিষেক যে প্রতিনিধি দলে ছিলেন তাঁরা জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, ইন্দোনেশিয়া, মালোয়েশিয়া সফর করেছেন। বিরোধী দলের নেতা হয়েও বিদেশের মাটিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন দেশ এক।
এদিকে বুধবার সব প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের। তবে তিনি মঙ্গলবার মধ্যরাতে কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরই সাংবাদিকদের জানান, বুধবার যে বৈঠক রয়েছে তাতে যে তিনি থাকতেন পারবেন না। তাঁর অনুপস্থিতির কথা কেন্দ্রীয় সরকারকে আগেই জানিয়েও দিয়েছেন। এই বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ হিসেবে তিনি এও জানান, আগামী কয়েকদিন পূর্ব নির্ধারিত বেশ কিছু কর্মসূচি রয়েছে। সর্বোপরি সামনেই কালীগঞ্জ উপনির্বাচন। তার জন্য ব্যস্ত থাকবেন তিনি। তাই এই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে চাইলেও তাঁর পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে টানা ১৫ দিন ধরে মোট পাঁচটি দেশে ঘুরে ভারতের অবস্থান স্পষ্ট করেন তাঁরা। এই সফর নিয়ে প্রথম থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, ‘আমি তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রতিনিধিত্ব করছি। কেন্দ্রের শাসকদলের সঙ্গে আমার মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু এখানে আমি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করতে এসেছি। এখানে আমি আমার জাতীয় আগ্রহের চেয়ে রাজনৈতিক আগ্রহকে বেশি গুরুত্ব দিতে পারি না।’ আর সেটাই বিদেশের মাটিতে তিনি করে দেখিয়েছেন। একাধিক দেশে ঠিক কী আলোচনা হয়েছে সেটা সবিস্তারে জানতেই আজ বিদেশমন্ত্রী বৈঠক করবেন প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে। অভিষেক সেই বৈঠকে না থাকার কথা বিদেশমন্ত্রীর কার্যালয়কে জানিয়ে দিয়েছেন।