বাংলাদেশের ময়মনসিংহে উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর বাড়ি ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মহম্মদ ইউনূস সরকার। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার এই ইস্যুতেই সরব হতে দেখা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দার জানিয়ে অভিষেক তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেনস উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর স্মৃতি বিজড়িত এই বাড়ি ভেঙে ফেলা আদতে বাংলার ‘ঐতিহ্যের উপর আক্রমণ’। একইসঙ্গে তিনি এও লেখেন, ‘এটি বাঙালির আবেগ ও বিবেকের উপর আঘাত এবং শিল্প–সংস্কৃতিতে রায় পরিবারের অতুলনীয় অবদানের প্রতি অবজ্ঞা।’ এরপরই তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করা। আর এই প্রসঙ্গেই অভিষেকের বক্তব্য, ‘আমি বাংলাদেশ সরকারকে এই কঠোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার এবং এই সাংস্কৃতিক নিদর্শনটি রক্ষা ও সংরক্ষণের জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’ বিষয়টি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক পদক্ষেপ করা উচিত বলেও জানান তিনি।
এই প্রসঙ্গে বলে রাখা শ্রেয়, সত্যজিৎ রায়ের ঠাকুরদা ও সুকুমার রায়ের বাবা উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরীর পালক পিতা ছিলেন হরিকিশোর রায়চৌধুরী। জমিদার হরিকিশোররের দুটি বাড়ি ছিল বাংলাদেশে। একটি কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মসূয়া গ্রামে। অন্য বাড়িটি ময়মনসিংহে। কটিয়াদীর বাড়িটি বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের উদ্যোগে সংস্কার করা হলেও ময়মনসিংহের বাড়িটি পড়েছিল অনাদরে। সূত্রে খবর, শিশু অ্যাকাডেমির নতুন ভবন বানানোর জন্য ভেঙে ফেলা হচ্ছে হরিকিশোর রায় রোডের শতাব্দী প্রাচীন বাড়িটি।