আদালতের নির্দেশে পুলিশ পাহারাতে সপ্তাহে দুইদিন ভাঙড় ২ বিডিও অফিসে যাবেন আরাবুল ইসলাম। সূত্রে খবর, সোমবার ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতিতে ফিরছেন আরাবুল। ভাঙড়ের রাজনৈতিক আঙিনায় গুঞ্জন পঞ্চায়েত সমিতিতে নিজের ঘর পেতে মরিয়া আরাবুল। অপরদিকে আরাবুল বিরোধী শওকত মোল্লা ঘনিষ্ঠ খাইরুল ইসলামরা কোনওমতেই আরাবুলকে ঘর দিতে চাইছে না বলে খবর। ফলে ঝামেলা হওয়ার আশঙ্কা করছেন ভাঙরের সাধারণ মানুষ। এলাকায় বেড়েছে পুলিশি নিরাপত্তা।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে গ্রেফতার করে ভাঙড় ডিভিশনের বিজয়গঞ্জ বাজার থানার পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ২০২৩ সালের জুন মাসে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার। খুন হয়েছিলেন আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা। নাম জড়িয়েছিল আরাবুল ইসলামের। বেশ কিছুদিন পরে তাঁকে গ্রেফতারও করে কলকাতা পুলিশ। এরপর একটানা পাঁচ মাস জেলবন্দি থাকার পর গত ২ জুলাই জামিন পান আরাবুল। আরাবুল জেলে থাকার পর লোকসভা ভোটের আগেই তাঁকে ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের কনভেনার পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল। লোকসভা নির্বাচনে আরাবুলহীন ভাঙড়েও শওকত মোল্লার নেতৃত্বে তৃণমূল ভাল মার্জিনে জিতে যায়। ৯ জুন ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সোনালি বাছাড়কে কার্যকারী সভাপতি করা হয় আরাবুল ইসলামের জায়গায়। তা নিয়ে ভাঙড়ের রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চর্চা হয়। শুধু তাই নয়, আরাবুল জামিন পাওয়ার আগেই তাঁর নামাঙ্কিত পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বোর্ড খুলে ফেলা হয়। অন্যদিকে এরইমধ্যে হাইকোর্ট থেকে শর্ত সাপেক্ষে জামিন পেয়ে যান আরাবুল। কিন্তু, বিজয়গঞ্জ বাজার থানা এলাকায় ঢোকার ক্ষেত্রে জারি হয় ‘নিষেধাজ্ঞা’। এদিকে ওই থানার অধীনেই ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতি। ফলে আরাবুল বাড়ি ফিরলেও তাঁর দফতরে ফিরতে পারেননি পাঁচ মাস। সব মিলিয়ে টানা দশ মাস পঞ্চায়েত সমিতির বাইরে আরাবুল। ফলে সবারই নজর এখন সোমবারের দিকে।