দাবি মতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে মোট ৮২২ কোম্পানিই কেন্দ্রীয় বাহিনী পেতে চলেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবাজ্ঞানমের এজলাসে শুনানির একেবারে শেষ পর্বে আদালতকে এই কথা জানান কমিশনের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা। সঙ্গে এও জানান, বাকি ৮৪৫ কোম্পানি বাহিনী আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যে পা রাখবে।
সোমবার আদালত অবমাননার মামলায় রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার রিপোর্টে কমিশন জানায়, রাজ্যে মোট ৪ হাজার ৮৩৪ টি স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে, যা মোট বুথের সংখ্যার ৭ থেকে ৮ শতাংশ। সোমবারের আগে পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী অনুমোদন করেছিল কেন্দ্র। কমিশন এদিনের রিপোর্টে আদালতকে জানায়, ৩১৫ কোম্পানির মধ্যে ২২৪ কোম্পানি বাহিনী এখনও পর্যন্ত রাজ্যে চলে এসেছে। আর আগে থেকে ২২ কোম্পানি রয়েছে। অর্থাৎ, ১১৩ কোম্পানি এখনও আসেনি।
সোমবার আদালতে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী এও জানান, যদি প্রতি কোম্পানিতে ৮০ জন সদস্যও থাকেন, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়ায় ২৬ হাজার ৯৬০ এ। এ রাজ্যে মোট ৬১ হাজার ৯৮৬ টি পোলিং বুথ রয়েছে। ৪৪ হাজার ৮৪২ টি পোলিং স্টেশন। যদি এই ৪৪ হাজার ৮৪২ টি জায়গায় ১ জন করেও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করতে হয়, তাহলে পর্যাপ্ত সংখ্যক বাহিনী তাদের কাছে নেই বলে সোমবার আদালতে জানায় কমিশন। ফলে বুথে বুথে রাজ্য পুলিশ মোতায়েন করা ছাড়া আর কোনও উপায় রাজ্য নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকছে না।
এই প্রসঙ্গেই নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে এক প্রস্তাব রাখা হয় আদালতে। তাতে জানানো হয়, যদি এই বাহিনীকে মোবাইল ইউনিটে রাখা যায় তাহলে ৩০ মিনিটের মধ্যে ৬ টি পোলিং প্রেমিসিসে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে।
তবে শুনানির একদম শেষপর্বে এসে বদলে যায় অঙ্ক। কমিশনের আইনজীবী জিষ্ণু সাহা আদালতকে জানান, সোমবারের শেষ মুহূর্তে কমিশনের সচিব তাঁকে জানিয়েছেন যে, ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর যে আবেদন তাঁরা জানিয়েছিলেন, তার গোটাটাই অনুমোদন করেছে কেন্দ্র। অর্থাৎ, প্রথম দফায় ২২ জেলার জন্য ১ কোম্পানি করে ২২ কোম্পানি, তারপরে দ্বিতীয় বার ৩১৫ কোম্পানি। এবার কেন্দ্র বাকি ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীও পাঠাচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই এই বাকি বাহিনী রাজ্যে চলে আসবে বলে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে৷ আদালত সূত্রে খবর, মঙ্গলবার মামলার পরবর্তী শুনানি।