কংগ্রেসের ছাত্র পরিষদের ৭১ তম প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে মহাজাতি সদনে এসেছিলেন অধীর। সেখান থেকেই এদিন মমতার বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দেগে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মুখে বলছেন ফাঁসি দেব, আর তদন্ত লোপাট করছেন। আপনার এতদিন পরে মনে হচ্ছে ফাঁসি চাই!” তুলেছেন কামদুনির প্রসঙ্গে। আক্রমণের সুর আরও চড়িয়ে অধীর এদিন প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে জানতে চান, ‘কামদুনিতে কী হল দিদি? অভিযুক্তদের ফাঁসি হল না কেন? বাংলার কোনায় কোনায় ধর্ষণ হয়েছে। তখন ফাঁসির কথা মনে পড়েনি! এখন দিদি নিজে ফেঁসে গিয়েছে। তাই ফাঁসির কথা বলছেন। ফেঁসে গিয়ে ফাঁসির কথা বলছেন দিদি।’
প্রসঙ্গত, এদিন আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান থেকে মমতা বলেন, ‘আমি পরের সপ্তাহে অধ্যক্ষকে বলে অধিবেশনের ডাক দেব। আমরা পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার পক্ষ থেকে আগামী দশ দিনের মধ্যে ‘ধর্ষকের ফাঁসির’ পক্ষে এই বিল পাশ করে রাজ্যপালের কাছে পাঠাব।’ এরইমধ্যে শোনা যায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিল পেশের পক্ষে দেওয়া হয়েছে সবুজ সংকেত। ২ তারিখ বসছে বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন। তিন তারিখ হতে পারে ধর্ষণ বিরোধী কঠোর বিল পেশ। যদিও এই অধিবেশন ডাকা নিয়েও আবার তোপ দেগেছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সাফ দাবি, ‘এই অধিবেশন করতে গেলে রাজ্যপালের কাছে ফাইল পাঠাতে হবে। রাজ্যপাল বেআইনি কাজের অনুমোদন দেবেন না। জোর করে বিধানসভা করতে পারেন না।’ পাল্টা তোপ দেগেছেন কুণাল। তাঁর দাবি, ‘আসলে বাংলায় অশান্তি করার চেষ্টা করছে বিজেপি। নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করে প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিজেপি নেতারা।’