আদালতে স্বস্তি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর। তাঁর বিরুদ্ধে যে এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল তাতে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সঙ্গে এও নির্দেশ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনওরকম পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। শুধু তাই নয়, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া ফাইনাল রিপোর্টও দিতে পারবে না পুলিশ। এমনকি আদালতের তরফ থেকে এদিন এ নির্দেশও দেওয়া হয়েছে যে, অধীরের সঙ্গে কথা বলতে হলে ৪৮ ঘণ্টা আগে তাঁকে জানিয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলতে হবে পুলিশকে। কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এমনই সব নির্দেশ দেয় বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ।
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি কিছুদিন আগেই ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ উপলক্ষে বাংলায় এসেছিলেন। সেই সময় রাহুল গান্ধির কনভয়ের একটি গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। সেই সফরে ছিলেন সাংসদ অধীর চৌধুরীও। পুলিশের অভিযোগ, সেখানে তিনি উত্তেজক বক্তব্য রাখেন আর তাতে কংগ্রেস সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। এই ঘটনাতেই অধীরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪১ এ ধারায় নোটিস পাঠানো হয়েছিল। ওইদিন ঠিক কী ঘটেছিল কেনই বা জনতা উত্তেজিত হয়ে উঠেছিল, তা জানতে অধীরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বলে সূত্রের খবর। সেই এফআই আর খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে যান অধীর। এদিকে অধীরের আইনজীবীর বৃহস্পতিবার শুনানির সময় আদালতে দাবি করেন, এই ধরনের কাচ ভাঙার ঘটনা এ রাজ্যের বাইরেও হয়। পুলিশ মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করে তাঁকে হেনস্থা করতে চাইছেন। এদিকে, রাজ্যের দাবি, অধীর যে উস্কানি দিয়েছেন তাতে ফৌজদারি মামলার ধারা যুক্ত করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। এদিনের এই শুনানির পর সব পক্ষকে তাদের বক্তব্য হলফনামা আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আগামী ৫ এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি।