নবান্ন অভিযানে ‘না’ প্রশাসনের, অবস্থানে অনড় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ

আগামী ২১ এপ্রিল বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিরা নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিলেন আগেই। এরপর গত বুধবার  শিবপুর থানায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিদের জেলা থেকে তড়িঘড়ি ডেকে রাত্রে ২ ঘণ্টা বৈঠক করা হয়। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রশাসনের কর্তারাও। এদিকে সূত্রে খবর, এই বৈঠকে নবান্ন অভিযান করতে না করা হয় এবং আইন শৃঙ্খলার অবনতিও ঘটবে বলে জানানো হয়। সঙ্গে এও জানানো হয়, এই অভিযানে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়নি। বৈঠকে প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষরা শেষ পর্যন্ত আশ্বাস দেন,বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের প্রতিনিধিদের  সঙ্গে নবান্নেই মুখ্যসচিবের সাথে বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে। সঙ্গে অনুরোধ করা হয়, নবান্ন অভিযান বাতিল করার। এই ঘটনায় বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চের তরফ থেকে দাবি করা হয়, আদতে হুমকি ও ভয় দেখানো হয়েছে। তবে ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে জানানো হয় তাঁরা তাঁদের সিদ্ধান্তে অনড়। তাঁদের একটাই দাবি, নবান্নের সভাঘরে মুখ্যমন্ত্রীর সাথে বৈঠক চাই এবং লিখিত সমাধান চাই।
মঞ্চের আহ্বায়ক আশিস খামরই এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমরা জীবন্ত লাশ হয়ে গেছি,দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে, বাড়ীতে সন্তান ও বাবা মায়ের মুখের দিকে তাকানো যায়না, আমরা দুর্নীতির কারণে সবাই যোগ্য চাকরি থেকে বঞ্চিত,তাই এই নবান্ন অভিযানে সকল বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারারা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবেন।’
 এদিকে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানান, ২১ তারিখ শালবনিতে জিন্দালের এক কারখানা উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।  মুখ্যমন্ত্রীর ওই দিন শালবনি যাওয়াকে পশ্চিমবঙ্গ বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী, চাকরিজীবী ও চাকরিহারা ঐক্য মঞ্চ তাঁদের নৈতিক ‘জয়’ বলে আখ্যা দিতে শুরু করেছেন। এই প্রসঙ্গে তাঁদের দাবি, কর্মসূচির দিনক্ষণ জেনেই মুখ্যমন্ত্রীর ওই কর্মসূচি তৈরি করা হয়েছে।  এই প্রসঙ্গে  সংগঠনের অন্যতম আহ্বায়ক শুভদীপ ভৌমিকের বক্তব্য,‘রাজ্যে কোনও বড় প্রকল্পের শিলান্যাস বা উদ্বোধন হওয়ার আগে তা ঢাকঢোল পিটিয়ে প্রচার করা হয়। কিন্তু ২১ এপ্রিলের বিষয়টি কেউই জানতেন না!’পাশাপাশি তাঁরা এও জানান,‘মুখ্যমন্ত্রী মেধাবী যুবক-যুবতীদের পেটে লাথি মেরেছেন এবং পরিযায়ী শ্রমিক বানিয়ে দিয়েছেন। বাংলার শিক্ষিত যুবসমাজ ও জনগণ তাঁকে ছেড়ে কথা বলবে না। আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবেই নবান্ন অভিযান করব। মুখ্যমন্ত্রী যে ওই দিন কলকাতায় থাকবেন না, তা আমাদের কাছে নীতিগত জয়। দৃষ্টি ঘোরানোর জন্যই মুখ্যমন্ত্রীর মেকি শিল্পের উদ্বোধন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

two × four =