হাওড়া মেট্রো স্টেশনে বসানো হচ্ছে এএফসি-পিসি গেট

কলকাতাবাসী যে খবরের অপেক্ষায় সে ব্যাপারে সুখবর শোনাল কলকাতা মেট্রো। হাওড়া ময়দান থেকে পূর্ব-পশ্চিম মেট্রোর এসপ্ল্যানেড পর্যন্ত বেশিরভাগ স্টেশনের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষ। এখন বৈদ্যুতিক, সৌন্দর্যায়ন এবং অন্যান্য বিবিধ কাজ চলছে পুরোদমে। আর তাও প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরেই এই কাজ শেষ করে হাওড়া-এসপ্ল্যানেডের মধ্যে মেট্রোর মাধ্যমে যোগসূত্র স্থাপন করার লক্ষ্য রয়েছে কলকাতা মেট্রোর।

আর এই কাজ শেষ হলেই হাওড়া এবং কলকাতা, হুগলি নদীর তীরবর্তী এই শতাব্দী প্রাচীন দুই শহর হুগলি নদীর তলদেশ দিয়ে মেট্রো পরিষেবা দ্বারা সংযুক্ত হবে। ভূগর্ভস্থ হাওড়া মেট্রো স্টেশনও চূড়ান্ত রূপ নেওয়ার পথে। এখানে বলে রাখা শ্রেয়, হাওড়া মেট্রো স্টেশনটি তৈরি হচ্ছে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে ৩৫ মিটার গভীরে এবং এটিই দেশের গভীরতম মেট্রো স্টেশন হতে চলেছে, এমনটাই জানাচ্ছে কলকাতা মেট্রো। কলকাতার উপকণ্ঠে যাঁরা বসবাস করেন তাঁরা পূর্ব রেল এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেলে হাওড়া স্টেশনে পা রাখলেই খুব সহজেই মেট্রো পরিষেবা পাবেন।

এই কাজে লক্ষ্যপূরণের জন্য ইতিমধ্যেই হাওড়া মেট্রো স্টেশনে স্বয়ংক্রিয় ভাড়া সংগ্রহ থেকে শুরু করে যাত্রী নিয়ন্ত্রণের জন্য হাওড়া স্টেশনের কনকোর্স স্তরে এএফসি-পিসি গেট স্থাপন করা হয়েছে। এই স্টেশনে মোট ৩২টি  এএফসি-পিসি গেট বসানো হচ্ছে। যা  ভিড় সামাল দিতে এক কার্য়করী ভূমিকা নেবে বলে মনে করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে মেট্রোর তরফ থেকে এও জানানো হয়েছে,  হাওড়া মেট্রো স্টেশনে সর্বাধিক সংখ্যক এএফসি-পিসি গেট থাকবে। এর মধ্যে কুড়িটে গেট দ্বি-দিকনির্দেশক হবে। যা স্টেশন কর্মীদের যাত্রী চলাচল  নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা দেবে। এই ধরনের গেটগুলির বিশেষ সুবিধা থাকার কারণের  ফলে হাওড়া মেট্রো স্টেশনে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে প্রবেশ করতে পারবেন। ২০টির মধ্যে দুটি গেট যাঁরা হুইলচেয়ারে যাতাযাত করেন তাঁদের জন্য রাখা হয়েছে। তবে সাধারণ যাত্রীরাও এই দুটি গেট ব্যবহার করতে পারবেন বলেও জানাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। বাকি ১২টির মধ্যে ছয়টি গেট শুধুমাত্র যাত্রীদের প্রবেশ ও প্রস্থানের জন্য পৃথক  ভাবে রাখা হচ্ছে। এরই পাশাপাশি এও জানানো হয়েছে, এই আধুনিক গেটগুলি প্রতি মিনিটে ৪৫ জন যাত্রী পরিচালনা করতে পারে। এই গেটগুলিতে মেট্রো যাত্রীরা তাঁদের মেট্রো টোকেন বা স্মার্ট কার্ডও ব্যবহার করতে পারবেন। এরই পাশাপাশি এই গেটগুলিতে কিউআর কোড স্ক্যানারও রয়েছে যাতে কিউআর কোড-ভিত্তিক টোকেন যাঁদের রয়েছে এমন যাত্রীরা এই গেটগুলির মাধ্যমে সহজেই স্টেশনে প্রবেশ ও প্রস্থান করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen + 16 =